আমার ছেলেকেও পুড়িয়ে মারা হোক, দাবি হায়দরাবাদের পশু চিকিৎসক ধর্ষনে অভিযুক্তের মায়ের

বাংলা হান্ট ডেস্ক :কথাতেই আছে কু মাতা যদিও হয়, কু সন্তান কখনও নয়। হায়দরাবাদের তেলেঙ্গানায় মহিলা পশু চিকিৎসক খুনও ধর্ষণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা দেশে। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে গোটা দেশের মহিলারা। বিভিন্ন জায়গায় চলছে প্রতিবাদ মিছিল।মুখ বেঁধে মহিলারাও মৌন মিছিল ও মোমবাতি মিছিলে নেমেছে। অনেক জায়গাতেই প্রতিবাদ ও ধরনা মিছিল করা হচ্ছে। আর এরই মধ্যে চার অভিযুক্তের মধ্যে একজনের মা নিজের ছেলেকে পুড়িযে মারার আর্জি জানালেন।people doctor veterinary protest against murder hyderabad 50e2c2b4 13f1 11ea a64f e20fcd3bbcc8

একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে ওই অভিযুক্তের মাকে বলতে শোনা গেছে, ওই মেযেটিকে যেভাবে পুড়িয়ে মেরেছে ঠিক সেভাবেই আমার ছেলেকে পুড়িয়ে মারা হোক। একইসঙ্গে তিনি নিহত পশু চিকিত্সক প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির মায়ের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে তাঁর কষ্টের কথা বলেছেন। পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কা রেড্ডিও এক মায়ের সন্তান তাও তিনি বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ্য, বুধবার রাতে স্থানীয় একটি টোল প্লাজায় স্কুটি রেখে ট্যাক্সিতে ওঠেন নিহত মহিলা পশু চিকিৎসক। সেখানে বসে মদ্য়পান করছিল ওই চার অভিযুক্ত। বছর ছাব্বিশের ওই তরুনীকে দেখার পর তখনই ধর্ষণের পরিকল্পনা করেছিল চার অভিযুক্ত। এরপর ইচ্ছা করে স্কুটির চাকা পাংচার করে দেয়। শিবা নামের ওই অভিযুক্ত। পরে তরুনী ফিরে এলে তাঁকে স্কুটির চাকা সাড়িয়ে দেওয়ার নাম করে এক অভিযুক্ত দোকানে নিয়ে যায় স্কুটিটি।

বাকি তিনজন মিলে ঝোপে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর ওই বাকি একজন এসেও ধর্ষণ করে। পরে পেট্রল ঢেলে তরুনীকে পুড়িয়ে মেরেও দেয় তাঁরা। যদিও শুক্রবার রাতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে পরিবারের তরফে বুধবার তরুনীকে প্লাজায় না দেখতে পেয়ে তাঁর বাড়ির লোক ফোন কলট্র্য়াক করার জন্য থানায় গেলে সহোগিতা করা হয়নি বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। শামশেরবাদ থানার ওই তিন কর্তব্যরত পুলিশকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।

সম্পর্কিত খবর