বাংলা হান্ট ডেস্ক : শুধু লণ্ডনেই নয় কাশ্মীর উপত্যকাতেও বড় জঙ্গী হামসলার ছক কষেছিল লন্ডনের ব্রীজ হামলার অভিযুক্ত উসমান খান। গ্রেফতারির পর জিজ্ঞাসাবাদ করে উসমানের কাছ থেকে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানার পর সর্বসমক্ষে সেকথা জানালেন ব্রিটেনের এক বিচারপতি।একইসঙ্গে বিভিন্ন মাদ্রাসায় গিয়ে উসমান ও তাঁর এক সহযোগী কাশ্মীরে নাশকতা চালানোর জন্য উস্কানিও দিত।
পাশাপাশি, এরপর যুবকদের জঙ্গী প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং জঙ্গী কার্যকলাপ করার সঙ্গেও যুক্ত ছিল সে। এরপর সেই প্রশিক্ষিতদের নিয়ে এসে ইংল্যান্ডে নাশকতার কাজও করত। তবে কাশ্মীরে জঙ্গীঘাঁটি বানিয়ে নাশকতা ছড়ানোর লক্ষ্যে ছিল উসমান।
এক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের বাসিন্দা ছিল উসমানের পরিবার। তবে উসমানের জীবনের বেশি অংশ কেটেছে পাকিস্তানে। আর সেদেশ থেকেই আলকায়দা ভাবধারায় সে অনুপ্রানিত হয়। এবং অল্প বয়সী ছেলেদের সঙ্গে জিহাদি ভাবধারায় য়ুক্ত হয়।তারপর তাঁরা সকলে মিলে লন্ডনে স্টক এক্সচেঞ্চ বিস্ফোরণ ঘটায়। ২০১০ সালের ঘটনা। যখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর।
২০১২ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর ২০১৮ সালে জেল থেকে বেরিয়ে এরপর আইএস-এর দিকে পা বাড়িয়েছিল। আর এখন জঙ্গীদের য়োদ্ধা হয়ে উঠেছে সে।শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে লণ্ডন ব্রীজে ছুরি হামলা চালায় সে। আর দুজন মারাও যায়। যদিও পুলিশের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
তবে উসমানের কথা শুনে লন্ডন হামলার সময়েই চমকে গিয়েছিলেন বিচারক। কিভাবে এত অল্প বয়সে একজন জঙ্গীদের দিকে মন ঘোরাতে পারে, কিংবা কেনই বা সে জঙ্গী হওয়ার জন্য মদত দিত, এসব নানা পর্শ্ন জেগেছিল তদন্তকারীদের মধ্যেও।