বাংলা হান্ট ডেস্ক :মঙ্গলবার থেকে শহরবাসী একটু হলেও শীতের আমেজ পেয়েছিল আর তাতেই যেন আলমারিতে থাকা সোয়েটার চাদর গুলোও একটু বাইরে বেরনোর সুযোগ পাচ্ছিল। কিন্তু দুদিন শীতের আমাজে থাকার পর আবারও শুক্রবার পারদ উর্ধ্বমুখী হল। শীতকে নিয়ে বঙ্গবাসী মাতামাতি শুরু করতেই অমনি বাধা হয়ে দাঁড়াল পশ্চিমি ঝ্ঞ্ঝা।
শুক্রবার সর্বনিম্ন পারদ বেড়ে হল ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। সকাল থেকেই সেভাবে রৌদ্দুরের দাপট তো নেই। তার সঙ্গে মেঘের আভাস। আর তাতেই মন খারাপের বার্তা বঙ্গবাসীর জন্য। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের কারণে বঙ্গে উত্তরে হাওয়া ঢুকতে বাধা পাচ্ছে আর তাই আবারও পারদ চড়ল।
যদিও একই কয়েকদিন অর্থাত্ সপ্তাহের শেষ ও আগামী সপ্তাহের শুরুতে এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।কিন্তু সোমবার থেকে আবারও শীতের আমাজে দেখা যেতে পারে। কিন্তু আগের মত সকালেও সন্ধ্যায় ঠান্ডা থাকবে এই কয়দিন। আসলে নভেম্বর মাসে টানা গরমের আভাষ থাকার পর অবশেষে শীতের শুরুতে ছক্কা হাঁকিয়ে শীতের আমেজ দেখা গিয়েছিল বঙ্গে।
সোমবার তাপমাত্রা উর্ধ্বমুখী হলেও মঙ্গলবার শহরের তাপমাত্রা এক লাফে আড়াই ডিগ্রিতে নেমে এসেছিল। আর বুধ ও বৃহস্পতিবার একই ভাবে ঠান্ডা লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে গরমের প্রভাব। শহর কলকাতা ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার অবধি ঠান্ডা থাকার পরে শুক্রবার গরমের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। তাই শীতের প্রভাব যে ডিসেম্বরের মাঝামাঝির আগে আসছে না তা বোঝাই য়াচ্ছে।
এমনিতেই এবছরে শীত আবার দীর্ঘস্থায়ী নয়। তারওপরে আবার শীতের আমেজ আসলেও যেন ফিরে যাচ্ছে আর এতেই শীতপ্রেমীদের আনন্দের জোয়ারে ভাটা পড়ছে। জানা গিয়েছে শুক্রবার বিকেলের পর থেকে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই জাঁকিয়ে ঠান্ডা এখনই নয়।