বাংলা হান্ট ডেস্ক : জোট বেঁধেও বিধানসভা উপনির্বাচনে খুব একটা যে ফললাভ হয়েছে এমনমটা নয়। কারণ, তিন তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয় হয়েছে। তাই তো এবার নিজেদের হারোন অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনতে একেবারে মরিয়া বামেরা। তাই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট অব্যাহত রেখেই পথে নামল সিপিএম ও প্রদেশ কংগ্রেস। ভরসা রাখতে হল লং মার্চের ওপরে।
জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বিরোধিতা, শিল্পের দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বাঁচানো সহ একাধিক দাবি নিয়ে লং মার্চ করছে সিপিএম ও কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই বামে-কংগ্রেস ডোচের লং মার্চে অংশ নিয়েছেন শরিক সংগঠনের সদস্যরা। চিত্তরঞ্জন থেকে কলকাতা অবধি ২৮৩ কিলোমিটার লং মার্চ করেছে জোট বাহিনী।
যদিও দাবি ছাড়াও গোটা রাজ্যে জোটের বার্তা স্পষ্ট্য করতে চেষ্টা করা হচ্ছে দুই দলের তরফে। আর এতে এগিয়ে এসেছে ন সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তী, সোমেন মিত্র, আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্যেরা।কিন্তু তাতেও ঘোচেনি দূরত্ব। তাই তো রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে দলীয় অন্দরে বিরোধিতা।
বর্ধমানের সিপিএম নেতারা লং মার্চের পদযাত্রা কর্মসূচিতে হাঁটতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাই জেলায় জেলায় অল্প বিস্তর নেতারা হাঁটছেন। অথচ মাইলের পর মাইল হাঁটতে হচ্ছে সূর্যকান্তদের। আসলে বিধানসভা উপনির্বাচন নিয়েই যত সমস্যা। কারণ, করিমপুর ও কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে যেভাবে দুই দলের ভোট পাওয়া নিয়ে চরম বিরোধিতা দেখা গিয়েছিল তা সকলেরই জানা।
বিশেষ করে দই জেলার সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্বদের মধ্যেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তাই তো এবার নীচু তলার লোকজনেদের জন্য ফল ভুগতে হচ্ছে উঁচু তলার মানুষদের, এমনটাই বলছেন কেউ কেউ। লং মার্চ শেষে এক মিছিল করা হবে দক্ষিন চব্বিশপরগনার বারুইপুর থেকে যাদবপুর অবধি। আর সেখানে পতাকি নিয়ে দুই দলের বাধা থাকবে না। এককথায় এভাবেই দুই দলের কর্মীদের মধ্যে সমঝোতা আনার চেষ্টা চলছে।