পেঁয়াজের দাম তদারকি করতে যদুবাবুর বাজারে গিয়ে হাজির মমতা

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক :পেঁয়াজের দাম বেড়েছে লাগাতার হারে। দেশে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত পরিমানে আমদানি না থাকার কারণে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পেঁয়াজের ভিন্ন ভিন্ন দাম চাওয়া হচ্ছে। শুধু দেশ নয় পশ্চিমবঙ্গের বাজারগুলিতেও একই অবস্থা। বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন দাম নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। তাই রাজ্যবাসী যাতে নাগালের মধ্যে পেঁয়াজ কিনতে পারে তারজনয বাজার খতিয়ে দেখতে কয়েক সপ্তাহ আগেই  নবান্নের তরফে টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছিল। যদিও তারপর কিছুটা হলেও নাগালের মধ্যে এসেছে পেঁয়াজ।

আসলে রাজ্যের সরকারের তরফে পেঁয়াজের মজুত রাখা নিয়েও পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এমনি বিভি্ন্ন বাজারের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।তবে এবার স্বয়ং মমতাই হানা দিলেন বাজারে। সোমবার সপ্তাহের প্রথমেই তাই পেঁয়াজ সহ অন্যান্য সবজির দাম খতিয়ে দেখতে সটান স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় গিয়ে হাজির হলেন যদুবাবুর বাজারে।

সেখানে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে পেঁয়াজের দাম এবং সবজির দাম জিজ্ঞাসা করেন। আর তারপরেই জানতে পারেন ১৫০ টাকা প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। তাই সরাসরি বিক্রেতাদের এত দামের পেঁয়াজ বিক্রি কেন করছেন, একইসঙ্গে কোথা থেকে পেঁয়াজ কেনা হচ্ছে বলেও প্রশ্ন করেন। এবং কত দামের পেঁয়াজ তাঁরা কিনছেন এমনটাও জিজ্ঞাসা করেন। তাতেই বিক্রেতারা জানান ১৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনছেন।

যদিও আর বেশি সময় নষ্ট না করে নবান্নের দিকে রওনা দেন। অন্যদিকে আজ থেকে দক্ষিণ ও উত্তর কলকাতার ৯৩৫ টি রেশন দোকানে ভর্তুকিতে পেঁয়াজ পাওয়া যাবে বলে ঘোষনা করে হয়েছে। রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার, ডিরেক্টর অফ রেশনিং এবং খাদ্য দফতরের সহসচিব সহ খাদ্য দফতরের ও কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিকরা একটি প্রশাসনিক বৈঠকে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার রেশন দোকানে পেঁয়াজ সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আর এ দিন ন্যায্যমূল্য দোকানের মালিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আর সেখানেই বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে যার মধ্যে ন্যায্যমূল্যে কানে পেঁয়াজের ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই প্রতিদিন 90 পেঁয়াজের প্রয়োজন হবে বলে জানানো হয়েছে রাজ্যের খাদ্য দফতরের তরফে।

সম্পর্কিত খবর

X