বাজারে চাকরির আকাল। অথচ বাজারে চাকরির অভাব নেই , এমনটাও অভিযোগ তোলা হয়। অনেক উচ্চশিক্ষিতরাই যোগ্য় চাকরির অভাবে বাড়িতে বসে থাকছেন। অনেকক্ষেত্রে দেখা গেছে মাস্টার্স, ডক্টরেট করেও যোগ্য় চাকরি পাচ্ছেন না। তবে এটা শুধুমাত্র সাম্মানিক কিংবা সাধারণ বিভাগ বা কলা বিভাগের সমস্যা নয়। এটি সমস্ত বিভাগেরই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে চাকরির যোগ্য প্রার্থীর অভাব রয়েছে বলেই চাকরির অভাবের দিকটি স্পষ্ট্য হচ্ছে।
কিন্তু তুলনামূলক ভাবে অবস্থা সবথেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের। কারণ, আর্টস বা কলা বিভাগের থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রেযোগ্য চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা ইঞ্জিনিয়ারিং-এই বেশি। সম্প্রতি অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্য়াল এডুকেশন বা এ আই সিটি ই-র একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য, যেখানে দেখা গিয়েছে কলা বিভাগে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যাতো এমনিতেই বাড়ছে দেশে।
কিন্তু তার থেকেও বছরের পর বছর যেভাবে ব্যাপক হারে দেশ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ারা পাশ করে বেড়োচ্ছেন সেক্ষেত্রে তাঁদের চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা উত্তোরত্তর বাড়ছে। এআইসিটিই-এর সমীক্ষা কলা, বানিজ্য, বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চাকরি প্রার্থীদের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেছিল। সেই সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে চাকরির যোগ্যতা অনুয়ায়ী এগিয়ে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুায়ারাই। এই মুহুর্তে দেশের নিরিখে তাঁদের পরিমান ৫৯ শতাং।
‘অন্যদিকে বানিজ্য বিভাগে ৪৭ শতাংশ, কলা বিভাগে রয়েছে মাত্র ২৯ শতাংশ। তবে গত বছরে ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে যোগ্য় চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা বেড়ে গেছে ৬ শতাংশ। এমনই তথ্য দিয়েছে এআইসিটিই। কিন্তু বিএ পাশ করা ছেলেমেয়েদের চাকরি প্রার্থীদের সংখ্যা কমে গেছে অনেকাংশে। যা চিন্তার কারণ বলেই মনে করছে শিক্ষামহল। কিন্তু বিজ্ঞানে বিভাগে চাকরির সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে বেড়েছে গত বছরের তুলনায়।
তবে যেভাবে প্রতিবছর বিএ পাশ করা পড়ুয়াদের সংখ্যা বড়ছে সেক্ষেত্রে এত বেশি পরিমানে ছাত্রছাত্রী পাশ করেও চাকরির সুরাহা হচ্ছে না। তাই যথেষ্টই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে শিক্ষা মহলে। কারণ, কলা বিভাগে পড়ে চাকরি পাওয়ার সুযোগ টা কিছুটা হলেও ইঞ্জিনিয়ারিং-এর থছেকে কম।