এনআরসি করতে এলে মেরে তাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিলেন সিপিআইএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী

বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্য ও লোকসভাতে পাশ করে গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। তাই শুধুমাত্র এক ধাপ বাকি অর্থাত্ রাষ্ট্রপতির অনুমোদন। তারপরেই হবে আইন প্রনয়ন। কিন্তু এরই মধ্যে আবারও এনআসি মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও রাজ্যসভায় পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চালু করা হবে বলে স্পষ্ট্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় রাজ্যে এনআরসি চালু করা কোনো ভাবেই যাবে না বলে ঘোষনা করেছিলেন।

এমনকি এনআরসির বিরোধিতায় মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু এবার সরাসরি এনআরসি করতে এলে মেরে তাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিলেন সিপিআইএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী। একদিকে যখন নাগরিকত্ব সংশোধন নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছে গোটা দেশ ঠিক তারমাঝেই সিপিএম নেতার এহেন মন্তব্য ঘিরে আবারও জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।aa Cover 9gpfqns013h6cevmjoiako60u7 20180428021407.Medi

বুধবার রাজ্যস ভাায় অমিত শাহের বিল পাশ হওয়ার পর থেকে বিরোধীদল গুলি সুর চড়িয়েছে তাই এদিন রাজ্যসভায় বিরোধীদের হট্টোগেল লক্ষ্য করা গেছে কিন্তু তারপরেই আবার ক্যাব ও এনআরসির বিরুদ্ধে সুর চড়াল বামফ্রন্ট।  তবে শ্যামল চক্বর্তীর সঙ্গে বিরোধিতার আওয়াজ তুলেছেন মহম্মদ সেলিমও। তবে এনআরসির বিরোধিতা করে মহম্মদ সেলিম বলেন, “দুটো জনগোষ্ঠী একসঙ্গে পাশাপাশি থাকতে পারে না, জিন্না-সাভারকররা তো এটাই বলেছিলেন। এরা ধর্মীয় উন্মাদনার ভিত্তিতে দেশভাগ করতে চাইছে।”

অন্যদিকে শ্যামল চক্রবর্তী তো চাঁচাছোলা ভাষায় বিজেপিকে আক্রমন করেছেন। বিজেপি কর্মীরা যদি এনআরসি করতে তাঁদের পাড়ায় যান তাহলে তাঁদের মেরে তাড়াবেন বলেন।  বুধবার রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধন বিল পাসের আগে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় আর এই আলোচনায় রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত নাম না করে এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এনআরসি চালু করতে দেবেন না বলে দাবি জানিয়েছিলেন তা উনি কি আটকাতে পারবেন?

এই প্রশ্ন তোলেনঠিক সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না নেয়ার জন্য স্বপন দাশগুপ্তকে ভদ্রতা দেখাচ্ছেন বলে জানান অমিত শাহ পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে জানান বাংলা সহ গোটা দেশে এনআরসি চালু করা হবে।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল সরকারের হ্যাটট্রিক ফলাফল করার পর এ বার বিজেপি কোমর বেঁধে মাঠে পেয়েছে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে ভাঙন ধরাতে, তাই তো কোনো রকম শর্ত ছাড়াই পশ্চিমবঙ্গে উদ্বাস্তুদের হিন্দুত্বের অধিকার দেওয়া হবে বলে সরাসরি জানিয়েছেন অমিত শাহ।

সম্পর্কিত খবর