বাংলা হান্ট ডেস্ক :একসময় ভারতের অন্যতম নামী মোবাইল কোম্পানি স্যামসাং-এর রমরমা কারবারে চিনের হুইঝো শহরে ছিল সাজ সাজ রব। রীতিমতো ভারতের কল্যানে সে শহরে একবারে ব্যবসা করে লালে লাল হয়েছিল বেশ কিছু ব্যবসায়ীও। কিন্তু এবার ভারতও চিনের সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পরে চিনের ওপর থেকে দয়া দেখানো বন্ধ করে ভারত। তাইতো চিনের প্রসিদ্ধ স্যামসাংকে একেবারে নিজের দেশে এবং ভিয়েতনামে স্থাপন করে ভারত। আর তাতেই এবার হাতরানোর অবস্থা হয়েছে চিনের। দুটি মেবাইল কারখানা চালু হয়েছে ভারত ও ভিয়েতনামে। আর তাই চিনের অবস্থা একেবারে খারাপ।
অনেকেই তাই বলছেন স্যামসাং-এ সড়তেই নাকি হুইঝো শহর ভুতুরে নগরীতে পরিচনত হয়েছে। যেহেতেু চিন ও আমেরিকার বানিজ্য যুদ্ধ চলছে বেশ কয়েকমাস ধরে তাই তো তার প্রভাব পড়েছে ভারতে। এবং ভারত একপ্রকার ক্ষিপ্ত হয়ে এবং চিনকে যোগ্য় শাস্তি দিতে সোজা স্যামসাংকে উঠিয়ে নিয়ে এসেছে। উত্তর চিনের প্রখ্যাত শহর হুইঝো, মুক্তো নদীর তীরে অবস্থিত। যেটি স্যামসাং কোম্পানির জন্যই এতদিন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ শহরের তকমা পেয়েছিল।
কিন্তু স্যামসাং সরতেই ব্যাস একেবারে যেন ভুতের শহর।বর্তমানে ভারতের রাজধানী শহরের পাশে নয়ডাতে স্যামসাং কারখানা সরিয়ে নিয়ে এসেছে। এতে একদিকে যেমন ভারত আর্থিক দিক থেকে লাভবান হবে ঠিক তেমনি নিজেদের ক্ষমতা মাত্র এক বছরের মধ্যে ই অনেক ইউনিট বাড়িয়ে ফেলবে ভারত। পাশাপাশি বানিজ্য সম্প্রসারনের ক্ষেত্রেও অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না।
আবার ভিয়েতনামে একটি কারখানা খোলার কারণে, চিনের ব্যবসায় তো মন্দা দেখা দিয়েছে তবে চিনের রাগ কিন্তু ভিয়েতনামের ওপরে। এবং এর ফলে আবারও তিনদেশের মধ্যে বানিজ্য য়ুদ্ধের আশঙ্কা করা হচ্ছে। কুড়ি বছর ধরে হুইঝো শহরে স্যামসাং রমরমিয়ে ব্যবসা করেছে এর ফলে চিন পার্শ্ববর্তী শহরগুলিতে একটি চেন সিস্টেমের ব্যবসা যেমন করছে ঠিক তেমনি আর্খিত দিকদিয়ে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। কিন্তু ভারতের এই সিদ্ধান্তের পর মোট একশোটির বেশি কারখানা বন্ধ হয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।