বাংলা হান্ট ডেস্ক :নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল রাজ্যসভা ও লোকসভায় পাশ হওয়ার পর দেশজুড়ে শুধুই প্রতিবাদের ঝড়। কেন এক ধর্মকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। সেখানে কেন স্থান নেই মুসলিমদের,,,এই সব প্রশ্ন বানে জর্জরিত করা হচ্ছে কেন্দ্রকে। যদিও এসবকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে দুই কক্ষ তো বটেই তার সঙ্গে আবার রাষ্ট্রপতির অনুমোদনও পাওয়া হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের। আর তাই বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যেই বিরোধিতা করতে কোমর বেঁধে মাঠে নমে পড়েছে। তবে লোকসভা ও রাজ্যসভা চত্বরও কিন্তু প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল।
কিন্তু প্রতিবাদ করে আদৌ কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই এবার বামেরা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বলবত্ হওয়ার নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে পথে নামার সিদ্ধান্ত নিল। দেশজুড়ে পথে নামতে চলেছে বামেরা। তাই ১৯ ডিসেম্বর তারিখে সিপিএম সহ বামফ্রন্টের অন্যান্য শরিক দলগুলি পথে নেমে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে। যেহেতু ১৯ ডিসেম্বর একটি ঐতিহাসিক দিল তাই এই দিনেই পাথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামেরা। কারণ, এই দিন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক যুগান্তকারী অধ্যায়।
১৯২৭ সালে ১৯ ডিসেম্বর উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর জেলায় ফাঁসিতে ঝুলেছিলেন রামপ্রসাদ বিসমিল। অপরদিকে ফৈজাবাদ জেলে ফাঁসি দেওয়া হল আরেক স্বাধীনতা সংগ্রামী আসফাকউল্লাহ খানকে। শুধু তাই নয়, নৈনি জেলে রোশন সিংকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তাই দিনটি ঐক্যে দিবস হিসেবে পরিচিত। আর এই দিনই ঐক্যের ডাক দিতে পথে নামতে চায় বামেরা। এনআরসি ও সিএবি নিয়ে রাজ্য নয় দেশজুড়ে পর্তিবাদ চলছে।
এমনিতেই লোকসভায় বিল পাশ হওয়ার আগে থেকেই অশান্ত হয়ে উঠেছিল অসম সহ গোটা ত্রিপুরা। টানা প্রায় পাঁচদিন ধরে অসমের পরিস্থিতি উন্নতি হয়নি। রাস্তায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ দেখানো হচ্ছে। মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। বুধবার রাজ্যসভায় নাগরিক গত সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর থেকে কলেজের ছাত্রছাত্রীরা পথ অবরোধ করেছিল একই সঙ্গে মিছিলে হেটেছে তাঁরা।
অসমের ডিব্রুগড়ে সেনা নামানো হয়েছে যাঁরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাগ মার্চ শুরু করে দিয়েছে। অপরাধে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট, অসমে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। যেহেতু বুধবার রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হয়ে গিয়েছে তাই কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না অসম সরকার কারণ
বুধবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়েছিল সাধারণ মানুষ এবং তাঁর বাড়িতেও হামলা করেছিল তাই ত্রিপুরার মতো ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করতে চাইছে অসম সরকার। বুধবার দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টার বাদ বিবাদের পর রাত্রি প্রায় নটার দিকে পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল।