বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুড়ো শীত আসছে। হাড় হিম করা শুরু হলো পশ্চিমবঙ্গের প্রিয় শীত প্রিয় মানুষের। তবে শীতের আমেজ যে শুধু সর্দি-কাশি-জ্বর এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ তাই নয়। খেজুরের গুড় থেকে আরম্ভ করে গ্রামের মেঠোপথে কুয়াশার যে আস্তরণ তার মধ্যেই লুকিয়ে আছে শীতের এক অভাবনীয় সৌন্দর্য। যা হয়তো অন্য গুলিতে উপভোগ করা যায় না।
পশ্চিমী ঝঞার জেরে শহরের পারদ নামল। তবে তা বিশেষ স্থায়ী হবে না বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
আরব সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল। সেখানে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় পবনের কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে উত্তর পশ্চিম বায়ু। ফলে বাড়ছিল তাপমাত্রা। পশ্চিম দিকের বদলে পূর্ব দিক থেকে রাজ্যে হাওয়া ঢুকছিল। সেই পথ আপাতত খুলেছে। ফলে শহরে ঠাণ্ডা হাওয়া অল্প হলেও প্রবেশ করছে। ফলে নেমেছে রাতের তাপমাত্রা। ভােরেও থাকছে শীতের অনুভূতি। তবে এবার জি ডিসেম্বরের প্রাকমুহুর্তে শীতের এমন আবির্ভাব অনেকেই স্তম্ভিত করে দিয়েছে।
জেলা এবং অন্যন্য শহরাঞ্চলেও নেমেছে পারদ। গত ২৪ ঘণ্টায় আসানসােলের তাপমাত্রা ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। বালুরঘাটে ১৪.২, বাঁকুড়ায় ১৬.০, ব্যারাকপুরে ১৪.৭, বর্ধমানে ১৫.৪, ক্যানিংয়ে ১৬.৪, কাঁথিতে ১৬.২, কোচবিহারে ৯.২ দার্জিলিংয়ে ৫,০ ডায়মন্ডহারবারে ১৬.৮ দিঘায় ১৯.৫ কৃষ্ণনগরে ১৭.৫ মালদহে ১৬.১ পুরুলিয়ায় ১৫.০ শিলিগুড়িতে ৯.৩ শ্ৰীনিকেতনে ১৪.০, কালিম্পংয়ে ৬.০, জলপাইগুড়িতে ১১.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।