বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নাগরিকতা সংশোধন আইনের (CAA) জেরে গোটা রাজ্যে চলছে অশান্তির আবহাওয়া। কোথায় পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বাস, তো কোথাও আগুন লাগানো হচ্ছে ট্রেনে। এমনকি বাদ যায়নি টিকিট কাউন্টার! বিক্ষোভ দেখানর নাম করে টিকিট কাউন্টার থেকে লুঠ করা হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সরকারের থেকে কোন কড়া পদক্ষেপ না নেওয়ায় অশান্তির আগুন আরও বেড়েই গেছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, কিন্তু ওনার ওটা শুধু মুখের কথাই ছিল। বাস্তবে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে অশান্তি থামাতে তেমন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
আরেকদিকে অসম থেকে প্রথম বিক্ষোভ শুরু হলেও, এখন অসম অনেকটাই শান্ত। অসমে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন এবং কারফিউ জারি করার পর সেরকম কোন হিংসার খবর পাওয়া যায়নি। যদিও অসমে বিক্ষোভ প্রদর্শনে এখনো পর্যন্ত ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও দেশের অন্যান্য রাজ্য গুলোতে নাগরিকতা সংশোধন আইন নিয়ে বিক্ষোভ অতটা জোরালো হয়নি, যতটা এই রাজ্যে হয়েছে।
রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের (TMC) নেতা / নেত্রীরা বরাবরই কেন্দ্রকে নাগরিকতা সংশোধন আইন নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছে বলেই, আজ রাজ্যের এতটা খারাপ পরিস্থিতি বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আরেকদিকে এবার গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। আর সেই কারণে এবার ছয়টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত ও বসিরহাট মহকুমা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর ও ক্যানিং মহাকুমাতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।
আরেকদিকে নাগরিকতা আইন সংশোধন এর প্রতিবাদে বিজেপির কয়েকটি পার্টি অফিসও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এর আগে বলেছিলেন প্রতিবাদ করুণ কিন্তু সংবিধান মেনে। কিন্তু ওনার কথায় কান না দিয়ে চারিদিকে চলছে তাণ্ডব। বিগত কয়েক বছরে এরকম তাণ্ডব লীলা রাজ্যবাসীরা দেখেনি কখনো। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার জন্য তৃণমূল নেত্রীর উপরে দোষ চাপাচ্ছে রাজ্যের প্রধান প্রতিপক্ষ দল বিজেপি। আরেকদিকে বিজেপির (BJP) নেতা রাহুল সিনহা রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি সুপারিশ করেছেন।