নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ শুরু হয়েছে রাজ্যের অসম ত্রিপুরা মেঘালয় পশ্চিমবঙ্গে তবে এবার ক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়ল ভারতের রাজধানী শহরে। এক দিকে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়ারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছিল তবে এবার দিল্লিতে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা মিলে রীতিমতো ক্ষোভের আগুন আরও উস্কে দিল। বাস জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে, বিক্ষোভে পুলিশি হস্তক্ষেপ করলে পুলিশের সঙ্গে পড়ুয়াদের এক প্রস্ত ধস্তাধস্তি হয়েছে।
রবিবার রাজধানী শহরের নিউ ফ্রেন্ড কলোনিসহ মথুরা রোড এবং একাধিক রাস্তায় আন্দোলনের জেরে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়।কয়েক হাজার মানুষ একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে এবং বিভিন্ন গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। উল্লেখ্য এক সপ্তাহ ধরে যে বিক্ষোভের আগুন উস্কে উঠেছে তার আঁচ এখনও রাজ্য জুড়ে অব্যাহত। দিল্লি পাঞ্জাব ছত্তিশগড় কেরল এবং মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের তরফ থেকে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন না মানার বিষয়ে জানানো হয়েছে।
এখন সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই এই আইন মানতে নারাজ। এমনিতেই ভোটগুরু প্রশাান্ত কিশোর সমস্ত রাজ্যের অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের এক হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন।সেই পথেই হাঁটল আরও ছয় রাজ্য। এমনিতেই মহারাষ্ট্রের তরফেও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল না মান নিয়েই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। তাই তৃণমূল, কংগ্রেস, আপ ও বামেরা এবার একজোট হয়ে বিরোধিতার সুর তুলেছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় আগেই বলেছিলেন রাজ্যে কোনোভাবেই এনআরসি ও সিএবি করতে দেওয়া যাবে না।এমনকি কংগ্রেস সাংসদ প্রদীব ভট্টাচার্যও এটিকে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছিলেন। তবে পশ্চিমবঙ্গে মতো আর যে বেশ কয়েকটি রাজ্য একই পথে হাঁটছে তাতেই উত্সাহিত তৃণমূল নেতৃত্বরা।