বাংলা হান্ট ডেস্ক :নাগরিকপঞ্জি বিল, 370 ধারা, তিন তালাক, রাম মন্দির যেন বিজেপির পাওয়ার প্লে চলছে। একের পর এক বিল পাস করে তছনছ করে দিয়েছেন বিরোধী শিবিরের ঐক্যকে। শুধু বিরোধী শিবির কেন দুষ্কৃতী এবং সমস্ত দেশ বিরোধীদের বিরুদ্ধে আইনে ভারতে এমন এক ইতিহাস রচনা করে দিয়েছেন যা হয়তো কোনো না কোনো সময়ে ভারত তার ফল পাবে।
বর্তমানে উত্তেজনার বশে ভারতের অবস্থা কিছুটা হলেও আশঙ্কাজনক। কিন্তু এর ফল সুদুরপ্রসারি। এবং সুফল যে প্রত্যেকটা মানুষ ভোগ করবে তা অনেক বিশেষজ্ঞরা ধারণা করতে পারছেন।পশ্চিমবঙ্গে এদিন কৈলাস এবং সৌমিত্র খাঁ বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শনের জন্য বের হন যেখানে অত্যাচারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
এদিন কৈলাস অভিযোগ করেন, “যখন দুষ্কৃতীরা ট্রেন পোড়াচ্ছে, বাস জ্বালাচ্ছে, সাধারণ মানুষের বাড়িঘর লুঠ করছে, তখন পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। আমরা কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে আটকে দেওয়া হচ্ছে।”তিনি আরও বলেন,“গত কয়েকদিনের অশান্তিতে মুর্শিদাবাদের বহু জায়গায় বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে লুঠপাট করেছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সেই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। অথচ তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়াটা অপরাধ হয়ে গেল! এটাই বাংলার গণতন্ত্রের চেহারা।”
এই কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতার অভিযোগ, “পুলিশ ইচ্ছে করে জ্যাম তৈরি করে রাস্তা আটকেছে।”আমার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ছিল বলেই আমি ওখান থেকে অক্ষত অবস্থায় ফিরেছি। আজকে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে অনেক বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারত।”
তবে এমন ধরনের ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের নতুন নয়। এর আগে মোদিকে কোমরে দড়ি দিয়ে ঘোরাবে বলেছিল মমতা। অমিত শাহ কে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে হেলিকপ্টার নামতে দেওয়া হয়নি বিজেপির। কিন্তু পরবর্তীকালে তা অনেকটা বুমেরাং হয়েছে মমতার ক্ষেত্রে।এই প্রসঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বলেন, “আমি জানি না কী হয়েছে। তবে এই ঘটনা হয়ে থাকলে তা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়।”