বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রায় পনেরো দিন ধরে উত্তপ্ত হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল যখন রাজ্যসভা এবং লোকসভায় পাশ করা হয় ঠিক তখন থেকেই বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে উত্তর পূর্বের অসম ত্রিপুরা মেঘালয়, তার পর বিল যখন আইনে পরিণত হয়েছে ঠিক তখন পশ্চিমবঙ্গ তার পর দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে অশান্তির আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কোনও ভাবেই সমর্থন করা যাবে না এই দাবিতে সরব হয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ জন। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভের জেরে এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এখনও অবধি মৃত্যু হয়েছে তেরো জনের তাই রবিবার নাগরিকত্ব বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে উত্তরপ্রদেশের লখনউতে যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূল প্রতিনিধিদের।
সেখানে গিয়ে এই বিক্ষোভের জেরে নিহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করা পাশাপাশি আহতদের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল ওই তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের। কথা মতোই তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল আবির বিশ্বাস এবং নাদিমুল হক সকলেই নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে লখনউয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন কিন্তু তাঁরা বিমানবন্দরে পৌঁছনো মাত্রই আর এগতে দেওয়া হয়নি।
জানা গিয়েছে লখনউ বিমানবন্দরে পৌঁছনো মাত্রই তৃণমূলের ওই চার প্রতিনিধি দলকে রাজ্যের পরিস্থিতির বিবেচনা করে আটকে দেওয়া হয়, জানিয়ে দেওয়া হয় 144 ধারা জারি রয়েছে তাই কোনও ভাবেই তাঁদের বাইরে যেতে দেওয়া যাবে না।
অন্যদিকে রবিবার উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে হিংসার আগুন এতটাই ছড়িয়ে যায় যে এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা নাকি পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার বাসিন্দা বলে সূত্রের খবর।