বাংলাহান্ট ডেস্কঃ স্মৃতিশক্তি আমাদের জীবনের এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে স্মৃতিশক্তি ছাড়া আমাদের জীবন জড় পদার্থের সমান। স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে গেলে আমাদের প্রাত্যহিক নূন্যতম জীবনযাপন ও সম্ভব নয়। অনেকেই বলতে শোনা যায় যে তিনি সব কিছু ভুলে যাচ্ছেন। জিনিসপত্র কোথায় রেখেছেন বা একটু আগে কি খেলেন সেই সাধারণ জিনিসগুলিও মনে রাখতে পারেন না অনেকে। প্রবীন বয়সে এটি একটি সাধারণ লক্ষন বলে বিবেচিত হলেও অল্পবয়সে বা মাঝবয়সে এটি একটি সমস্যা। যার ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে বা কর্মক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েন অনেকেই । জেনে নিন স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কি করা উচিত
স্ট্রেস কমানঃ স্ট্রেস আমাদের স্মৃতিশক্তির ক্ষেত্রে সবচেয়ে ক্ষতিকর । ক্রমাগত মানসিক চাপ সময়িক স্মৃতিশক্তি নষ্টের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিও করে। তাই মানসিক চাপ থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকুন।মানসিক চাপকে দূরে রাখতে বই পড়ুন, গান শুনুন বা টি.ভি. দেখুন। বেশী চাপ অনুভব করলে চোখ বন্ধ করে লম্বা শ্বাস নিন।
পর্যাপ্ত ঘুমানঃ আজকালকার আধুনিক জীবনে আমরা অনেকেই প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম ঘুমাই। যার ফলে কমে যেতে পারে স্মৃতিশক্তি, দৈনিক কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন । চেষ্টা করুন ৯-১০ ঘন্টা ঘুমাতে
বুদ্ধির খেলা খেলুনঃ অবসর সময়ে দাবার মত মস্তিষ্কের খেলা খেলতে পারেন অভ্যাসের ফলে আপনার বুদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি বাড়বে
নতুন কিছু শিখুনঃ স্মৃতিশক্তি বাড়াতে আপনি শিখতে পারেন নতুন কিছু। এই নতুন শেখা যেমন হতে পারে নতুন ভাষা তেমনই ছবি আঁকা, যন্ত্র বাজানো বা গান গাওয়ার মত ক্রিয়েটিভ কাজ।
সঠিক ডায়েট মেনে চলুনঃ স্মৃতিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে আপনার উচিত আপনার খাদ্যতালিকায় পরিমাণ মত মাছ, ডিম, সবুজ সবজি, বাদাম, তেলের বীজ, মাংস, বিনস, আয়রনযুক্ত খাবার রাখা। এতে স্বাস্থ্যোন্নতির সাথে সাথে বাড়বে স্মৃতিশক্তি।
ব্যায়াম ও মেডিটেশন করুনঃ শরীরের সাথে সাথে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও ব্যায়াব অত্যন্ত জরুরি। ব্যায়াম করার ফলে এই হিপোক্যাম্পাস উত্তেজিত ও স্ফীত হয়ে উঠে এবং স্মৃতি ধরে রাখতে সহায়তা করে। একই সাথে ব্যায়াম ব্রেনে নতুন কোষের জন্মও দেয়। মেডিটেশন বা ধ্যান করলে মন অনেক বেশী মনোযোগী করে ফলে স্মৃতিশক্তি ক্ষয় রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে এই মেডিটেশন।