বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেশজুড়ে শুধুই ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। আট থেকে আশি কোনো মহিলাই পুরুষদের পাশবিক অত্যাচার থেকে রেহাই পাচ্ছেননা। এমনকি সদ্যোজাতরাও নয়। দেশে এধরনের ঘটনার নজির কম নেই। কিন্তু সেভাবে আইন প্রনয়ন এখনও অবধি হয়নি। যদিও দোষীদের ধরা পড়লে শাস্তি হয় কিন্তু বিরলতম শাস্তির উদাহরন নেই দেশেষ তবে এবার মাত্র তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দিল গুজরাত হাইকোর্ট।
শুক্রবার গুজরাত আদালতে ধর্ষন, খুন ও প্রমানের লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেই ওই ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দেয় আদালত। জানা গিয়েছে ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর তারিখে হঠাত্ই নিজের বহুতলের আবাসন থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় তিন বছরের শিশু। তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তাঁর খোঁজ মেলেনি। ওই বহুতলের নীচে থাকতেন অভিযুক্ত অনিল যাদব।
শিশুটির পরিবারের সদস্যরা যখন তাঁর খোঁজ করছিলেন ঠিক তখনই নাকি ওই অনুলও তাঁদের সঙ্গে খোঁজ চালাচ্ছিলেন। এরপর আচমকা ঘরের তালা বন্ধ রেখে উধাও হয়ে যায় অনিল। তারপর তাঁর ঘর ভেঙে একটি ব্যাগ থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তাঁকে পাকড়াও করতে মাঠে নামে সুরাটের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
পরে সুরাট ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা বিহার পুলিশের সহায়তায় অনিলের গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে। তরপর তাঁকে গুজরাত আদালতে তোলা হয়। তাতে দোষী প্রমানিত হয়েছিল সে। এমনই নক্কারজনক ঘটনার শাস্তি হিসেবে আজ গুজরাত আদালতের তরফে তাঁর মৃত্যুদণ্ড শোনাল আদালত।