বাংলাহান্ট ডেস্ক: বছরের শেষে ধামাকেদার খবর। বড়পর্দায় ফিরছেন অভিনেত্রী তথা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। আর ফিরছেনও বেশ ভারিক্কি চালে। ‘ড্রাকুলা স্যর’এর হাত ধরে কামব্যাক করছেন মিমি। বিপরীতে রয়েছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য।
ড্রাকুলার সঙ্গে সিনেপ্রেমীরা বেশ ভালরকমই পরিচিত। এর আগে বহু জনপ্রিয় ছবি তৈরি হয়েছে ড্রাকুলার আখ্যান নিয়ে কিন্তু সেসবই হলিউডে। এই বিষয়টা নিয়ে বাংলায় ছবিই হয়নি। এমনকি অনেকেরই ক্ষোভ, হালের টলিউডে তেমন ভয় ধরানো ছবি নেই। তাহলে কি সিনেপ্রেমীদের সেই হতাশা এবার দূর হতে চলেছে? বাংলাতেও কি ঢুকে পড়বে ড্রাকুলা-ভ্যাম্পায়ারদের হাড় শিরশিরানি গল্প? উত্তর দিলেন পরিচালক নিজেই। ছবির পরিচালক দেবালয় জানালেন, কোনও ভূতের গল্প তিনি বলছেন না। বরং তাঁর ছবির ড্রাকুলার মধ্যে দিয়ে বিষাদটাই বেশি করে ফুটে উঠবে। তাঁর কথায়, “ড্রাকুলা চরিত্রটার মধ্যে চিরদিনই আমি একটা চাপা দুঃখ খুঁজে পেয়েছি। একজন বাঙালি ড্রাকুলার গল্প বলবে আমার ছবি যার কোনও প্রাসাদ নেই। কীভাবে সে ড্রাকুলা হয়ে ওঠে সেই কাহিনিই উঠে আসবে ছবিতে।”
ছবিতে আনির্বাণ ভট্টাচার্যকে দেখা যাবে ড্রাকুলার ভূমিকায়। বা বলা ভাল ‘ড্রাকুলা স্যর’ ওরফে রক্তিমের ভূমিকায়। তাঁর সামনের ক্যানাইন দাঁতদুটি বড়, তাই এমন নামকরন। অপরদিকে একজন বিধবার চরিত্রে অভিনয় করছেন মিমি। তাঁর চরিত্রের নাম মঞ্জরী। দেবালয়ের কথায় মিমির চরিত্রে একটা বিষন্ন দিক আছে যা প্রথমবার এই ছবির মাধ্যমেই তুলে ধরা হবে।
সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই মিমির প্রথম ছবি। এর মাঝে নিজের নতুন দায়িত্ব নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন তিনি। শেষবার তাঁকে দেখা গিয়েছিল ‘মন জানে না’ছবিতে। আগামী বছর জানুয়ারির প্রথম দিকেই শুরু হবে ‘ড্রাকুলা স্যর’এর শুটিং।