বাংলাহান্ট ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা CAA ও জামিয়া মিলিয়ার ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে গোটা দেশ। প্রায় প্রতিটা রাজ্যেই চলেছে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ মিছিল। এই আইনের প্রতিবাদে পথে নেমেছে হাজারো মানুষ। তাদের সুরেই সুর মিলিয়েছেন বলি তারকারাও। তবে সবাই নন। ফারহান আখতার, আয়ুষ্মান খুরানা, রাজকুমার রাও, আলিয়া ভাট, স্বরা ভাস্কর, অনুরাগ কাশ্যপ, মহেশ ভাটদের গলায় প্রতিবাদ শোনা গেলেও এক্কেবারে নীরব ছিলেন তিন খান সহ বলিউডের প্রথম সারির তারকারা। সেই তালিকায় ছিল অক্ষয় কুমারের নামও। বহু কটাক্ষ হজম করেও নির্বাক ছিলেন তিনি। তবে এবার মুখ খুলেছেন। কিন্তু গলায় উলটো সুর। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বিক্ষোভ থামানোর অনুরোধ করে অক্ষয় বলেছেন, “আমার হিংসা ভাল লাগে না। যে পক্ষই হোক আমি চাই হিংসা যেন না ছড়ায়। সম্পত্তি নষ্ট করবেন না। কোনও বক্তব্য থাকলে বলুন। কিন্তু হিংসা জড়াবেন না। কারও সম্পত্তি নষ্ট করা একেবারেই উচিত নয়।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই একই দাবি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত।
বিক্ষোভকারীদেরকটাক্ষ করে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, বাস ট্রেন জ্বালানোর অধিকার ওদের কে দিয়েছে? তিনি আরও বলেন, “প্রতিবাদের নামে দেশ জুড়ে যে বিক্ষোভ চলছে তা একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়। ভারতে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। গোটা দেশের যা জনসংখ্যা তার ৩-৪ শতাংশ আয়কর দেন। বাকিরা ওদের উপর নির্ভরশীল। তো ওদের কে অধিকার দিয়েছে বাস ট্রেন জ্বালাতে। এক একটা বাসের দাম প্রায় ৭০-৮০ লক্ষ টাকা। এইভাবে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস হচ্ছে।”কঙ্গনার মতো একই পথে হেঁটে কার্যত নাগরীকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধেই কথা বললেন অক্ষয়।
এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় জামিয়া মিলিয়া পড়ুয়াদের ব্যঙ্গ করে বানানো একটি ভিডিয়োতে লাইক করায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় আক্কিকে। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি ভিডিয়োটি আনলাইক করে তিনি জানান ভুল করে লাইক করে ফেলেছিলেন। অবশ্য তাঁর এই সাফাইতে সমালোচনা থেমে থাকেনি। অক্ষয়কে ‘মেরুদন্ডহীন’ বলেও কটাক্ষ করে নেটজনতা। এই বক্তব্যকে সমর্থনও করেন পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ। অক্ষয়ের এই মন্তব্য যে নতুন করে আগুনে ঘি ঢালতে পারে সেই আশঙ্কাই করছেন নেটিজেনরা।