বাংলা হান্ট ডেস্ক : এমনিতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতার জেরে একেবারে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশের বিস্তির্ণ এলাকা। তাই তো জেলার বিভিন্ন জায়গায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। পাশাপাশি ১৮টি জেলায় বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে প্রশাসনের। তাইতো এবার পুলিশ প্রশাসনের তরফে কোমর বেঁধে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। মেরুট সহ উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় চিরুনী তল্লাশি করছে পুলিশ।
ইতিমধ্যেই প্রায় পাঁচ হাজার বিক্ষোভকারীদের আটক করেছে পুলিশ। কয়েকদিন আগে এক পুলিশকর্মীকে বলতে শোনা গিয়েছিল পাকিস্তানে ফিরে যাও। উত্তরপ্রদেশের মিরাটের এই ঘটনা সংবাদমাধ্যমের প্রকাশ্যে আসার পর থেকে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। আইনের রক্ষক হয়ে এক পুলিশকর্মীর এহেন সাম্প্রদায়িক মন্তব্য ঘিরে কার্যত দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল নতুন ঝড়।
গত শুক্রবার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছিল যেখানে মীরাটের এক পুলিশ সুপারিন্টেন্ডকে কয়েকজন আন্দোলনকারীর সামনে এসে বলতে শোনা গিয়েছিল পাকিস্তানে চলে যাও। তবে এবার সেই পুলিশ সুপারিনটেনডেন্টের মন্তব্যের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি। সংবাদ মাধ্যমের সামনে ওই মন্তব্যের ব্যাপক বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বলতে শোনা যায় যদি সত্যিই ওই পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট এমন কাজ করে থাকে সেক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন পুলিশ হিংসা ছড়াবে এমনটা মেনে নেওয়া যায় না। এমনকি কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এমনটা হতে পারে না বলেও দাবি করেন তিনি। শুক্রবার নমাজ পড়ার সময় যেহেতু একসঙ্গে অনেক মানুষ জড়ো হয় তাই এই দিন ঝামেলার কথা চিন্তা করে আগে থেকেই বিভিন্ন মসজিদ চত্বর থেকে শুরু করে বিস্তীর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী আঁটোসাঁটো করা হয়েছিল।
এর সেদিনই নামাজ পড়ে হেঁটে আসা কয়েকজন ব্যক্তিকে ওই পুলিশ সুপারিনটেন্ডকে বলে শোনা যায় ‘‘সেটা ঠিক আছে। কিন্তু এই কালো ও নীল ব্যাজ পরেছে যারা, তাদের পাকিস্তানে চলে যেতে বলো।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন তোমরা যাঁরা এখানে থাকতে চাওনা তাঁরা অন্যত্র চলে যাও, কারণ এখানে থেকে অন্য জায়গার প্রশংসা করবে এটা মেনে নেওয়া যায়না।