বাংলা হান্ট ডেস্ক :তাঁর নিয়ে যাই বলা হোক না কেন তা নেহাতই বড্ড কম। কারণ তিনি যেভাবে দেশের জন্য নিজের জীবনকে উত্সর্গ করতে উদ্যত ছিলেন এবং দেশের উন্নয়নের জন্য তিনি যে সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তা সত্যিই এক কথায় অনন্য।
মিসাইল ম্যান তথা দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি ডে আব্দুল কালাম দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে আবিষ্কার নিয়ে বিশ্ব বন্দিত হয়ে আছেন। যদিও তিনি আর আমাদের মধ্যে নেই কিন্তু তাঁর সমস্ত আবিষ্কার আজীবন বিশ্বের বুকে স্বর্ণাক্ষর হয়ে থাকবে। অত্যন্ত সাদামাটা ও সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসাকালাম কিভাবে যে অসাধারণ হয়ে উঠেছিলেন তা আমরা সকলেই জানি।
শুধু আবিষ্কার করেই ক্ষান্ত থাকেননি দেশের দুর্নীতি রক্ষার্থেও অনস্বীকার্য অবদান নিয়েছেন। ভারত আবার জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে এই বাক্যকে সামনে রেখে দেশকে কিভাবে সুন্দর গড়ে তোলা যায় তাঁরও চেষ্টা করেছেন। তাই তো দেশের সৌন্দর্য গড়ে তোলার জন্য বাবা মা ও শিক্ষককে নজরে রেখেছিলেন তিনি। অর্থাত্ তাঁর মাতে এই তিনজনই দেশকে সুন্দর গড়ে তুলতে পারে।
পাশাপাশি দেশের শাসন ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও দুর্নীতি মুক্ত করার চেষ্টাও করেছিলেন তিনি। কালামের প্রভাব পড়েছি যুব সমাজেও। যদিও আজও তা অব্যাহত। তিনি যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। তাই যুব সমাজের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথাও বলেছিলেন। যার মধ্যে অন্যতম ছিল সাফল্যের মুখ দেখতে গেলে একাগ্রচিত্ত মানোনিবেশের প্রযোজন। অন্যদিকে কিছু করে দেখানোর জেদ থাকলে অবশ্যই আদম্য সাহস ও ইচ্ছের প্রয়োজন বলেও জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি শিশুদের সুখের জন্য আত্মবিশর্জনের পরামর্শ দিয়েছিলেন।