বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত বছর অর্থাত্ 2019 দেশের আর্থিক অবস্থা একেবারেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। বিশেষ করে মোদী সরকারের দ্বিতীয় জমানায় দেশের আর্থিক বেহাল দশা নিয়ে চিন্তিত ছিল বিশ্বের অর্থনীতিবিদরাও। চলতি আর্থিক বাজেটের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার এতটাই নেমে গিয়েছিল যা গত ছয় বছরের রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে, অথচ মোদী সরকারের চ্যালেঞ্জ ছিল 2024 সালের মধ্যে দেশকে পাঁচ ট্রিলিয়ন মধ্যে পৌঁছে নিয়ে যাওয়া।
যদিও বিশ্বের অর্থনীতিবিদরা বারবার বলেছিলেন 2019 সালের মধ্যে সে ভাবে আর্থিক উন্নতির সম্ভাবনা নেই কিন্তু নতুন বছরে যাতে দেশের আর্থিক অবস্থা উন্নততর করে তোলা যায় তার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তরফে বৈঠক সারা হয়ে গিয়েছে। ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন তবে এবার বছরের শেষ দিন অর্থাত্ মঙ্গলবার আগামী পাঁচ বছরেই জন্য সরকারি খরচে দেশের পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে 102 ট্রিলিয়ন টাকার পরিকাঠামো পরিকল্পনা উন্মোচন করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
যদিও কয়েক মাস আগেই পরিকাঠামো প্রকল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী 100 ট্রিলিয়ন টাকার বিনিয়োগের কথা জানিয়েছিলেন ঠিক তার কয়েক মাসের মধ্যেই দুই ট্রিলিয়ন টাকা বেশি ধরা হল। তাই বিদ্যুত্ রেল নগর উন্নয়ন সেচ শিক্ষাব্যবস্থা এই সমস্ত গুলোই পড়বে এই প্রকল্পের আওতায়। পাশাপাশি সড়ক ও শক্তি প্রকল্প এ নিয়ে মোট 25,20,14 ট্রিলিয়ন টাকা ধার্য করা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই দেশের আর্থিক ব্যবস্থা নিয়ে আশার বানী শোনাল ব্রিটেনের সেন্টার ফর ইকনমিক রিস্টার্চ অ্যান্ড বিসনেস রিসার্চ। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে না হলেও সাত বছরের মধ্যে দেশের আর্থিক অবস্থা ফিরবে, এমনটাই বলছে ওই সংস্থা।
সম্প্রতি একটি সমীক্ষা করে সেই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে ব্রিটেনের ওই সংস্থা। আর সেই তথ্য বলছে কয়েক বছরের মধ্যে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার এতটাই দ্রুত গতিতে ত্বরান্বিত হবে যে ২০০৬ সাল নাগাদ ভারত বিশ্বের চতুর্থ অর্থিক ক্ষমতাশালী দেশের তকমা পাবে। একইসঙ্গে ওই সংস্থার সমীক্ষা আরও জানিয়েছে, তা হল জার্মানিকেও ছাপিয়ে যাবে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি।
এরপর আরও সাত বছর পর অর্থাত্ ২০৩৪ সাল নাগাদ জাপানকে ছাপিয়ে তৃতীয় নম্বর আর্থিক ক্ষমতাশালী দেশের তকমা পাবে দেশ। তাহলে মোদী সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আরও দুবছর বেশি সময় লাগলেও পরিমান যে অনেকটাই বেশি হবে তা বলাই যায়। যদিও এবছরে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার কম, কিন্তু তাতেও এখনও অবধি অর্থনীতির দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত।