বাংলা হান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ দিন ধরে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন সংক্রান্ত সমস্যা। যেহেতু বেতন কমিশন এর মেয়াদ বার বার বৃদ্ধি করা হয়েছিল তাই সরকারি কর্মচারীদের বেতন কমিশন লাগু হওয়ার ক্ষেত্রেও যেমন ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল তেমনই চিন্তায় দিন কাটাতে হচ্ছিল। কিন্তু গত বছরের অক্টোবর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন বছর অর্থাত্ 2020 সাল থেকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন।
সেই মতো আজ অর্থাত্ পয়লা জানুয়ারি থেকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য বাড়ছে বেতন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের অর্থমন্ত্রকের তরফে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনেই রোপা তৈরি করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও পেনশন বাড়ানোর জন্য দশ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রিভিশন অব পে অ্যান্ড অ্যালাউন্সের ফর্ম পূরণের সময়সীমা বাড়ানো হয়।যেহেতু সরকারি কর্মচারীদের জন্য বেতন বাড়ার কথা জানানো হয়েছিল তাই এই ফর্ম পূরণের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে 15 জানুয়ারি অবধি। যেহেতু এই প্রথমবার রাজ্যে পে কমিশনের সঙ্গে পে ম্যাট্রিক্সের সংযুক্তিকরণ করা হয়েছে তাই রোপা ফর্ম পূরণের জন্য রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
তবে যাই হোক না কেন নতুন বেতনক্রম নিয়ে কিন্তু বেশ দ্বিমত রয়েছে কারণ, ইতিমধ্যেই মহার্ঘ ভাতা আইনি ঘেরাটোপে আটকে রয়েছে। যে হেতু এমনিতেই রাজ্য সরকারকে বিগত ঋণের সুদ হিসেবে 56 হাজার কোটি টাকা দিতে হচ্ছে তাঁর সঙ্গে আবার 10 হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত চাপছে তাই সরকারি ভাণ্ডারে বেশ প্রভাব পড়তে পারে এমনটাও মনে করছেন অনেকেই।
অন্যদিকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যাঁরা অবসরপ্রাপ্ত তাঁদের পেনশন বাড়ানোর জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন।তাই তো ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়া অবধি নতুন বছর থেকে বর্ধিত হারে বেতন পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা এবং তাঁর সঙ্গে পেনশনভোগীদের বেতন বাড়বে।