স্লোগান যদি দিতেই হয় তাহলে পাকিস্তানের নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের জন্য দিন, বিরোধীদের তোপ দেগে বললেন মোদী

বাংলা হান্ট ডেস্ক : যেহেতু নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু অর্থাত্ হিন্দুদের ভারতে থাকার নাগরিকত্ব দেওয়া হবে তা নিয়েই যত বিক্ষোভ এবং আন্দোলনের সূত্রপাত দেশ জুড়ে। তবে দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও একযোগে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে এবং পথে নেমেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বারবার লোকসভা ও রাজ্যসভায় বোঝানোর চেষ্টা করলেও এই আইনকে আবার পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছে বিরোধী দলের সদস্যরা।NarendraModi 2

এমনকি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাষ্ট্রপুঞ্জের আওতায় গণভোটের দাবি জানিয়েছিলেন তবে এবার কর্নাটকে জনসভা মঞ্চ থেকে সরাসরি বিরোধীদের তোপ দেগে পাকিস্তান থেকে যারা প্রাণ বাঁচাতে এ দেশে এসেছেন সেই নির্যাতিতাদের বিরুদ্ধে কেন প্রতিবাদ করছে সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও এখানেই থেমে থাকেননি তখন পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চলছিল ঠিক তখন বিরোধীরা কুলুপ এঁটেছিল অথচ যখন ভারত সরকার তাঁদের পাশে থাকতে চাইছে তখনই স্লোগান তোলা হচ্ছে, স্লোগান দিতে হলে পাকিস্তানে নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের জন্য দিন এমনটাই বলেন প্রধানমন্ত্রী।

পাশাপাশি পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের কথাও তুলে ধরেন তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। এমনিতেই পাকিস্তানে সংখ্যালঘু অর্থাত্ হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে অনেক আগে থেকেই ভারত মুখ খুলেছিল আর এ দিন জনসভা মঞ্চ থেকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অত্যাচারের কারণেই তারা শরণার্থী হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন। কংগ্রেসের নাম করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তারা কিছু বলে না বলে অভিযোগ তুলেছেন মোদী।

তাই তো আন্তর্জাতিক স্তরে পাকিস্তানের কুকর্ম ফাঁস করে দেওয়া এবং পাকিস্তানে হিন্দু দলিত পীড়িত ও শোষিত সাধারণ মানুষদের ও সংখ্যালঘুদের সমর্থনে মিছিল করার বার্তা দিলেন মোদী। আসলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে যেভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সভা মঞ্চ তৈরি করে বিরোধিতার সুর তুলছে কংগ্রেস সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল তার পরিপ্রেক্ষিতে বলতে গিয়েই কর্নাটকে জনসভা মঞ্চ থেকে চাঁচাছোলা মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

সম্পর্কিত খবর