বাংলা হান্ট ডেস্ক : শুরু থেকেই রাজ্য সরকারের সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানোর অভিনব কর্মসূচি দিদিকে বলো ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। কিন্তু এখনও বাকি রয়েছে ২০ শতাংশ। তাই তো ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর ইতিমধ্যেই সেই কর্মসূচির সময়সীমা বাড়িয়ে দিয়ে ১২ জানুয়ারি অবধি ঘোষনা করেছেন।তবে দিদিকে বলো কর্মসূচির এই কিছু অংশের কাজ না হওয়ায় দলীয় বিধায়কদেরই দায়ী করা হচ্ছে। যা লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল তা থেকে কয়েকটি জেলাস্তরে কাজের অসম্পূর্ণতা থেকে গেছে।
তাই এবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে দলীয় কর্মীদের জন্য আরও একটু করা হলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিছু ফাঁকিবাজ নেতা যাঁদের জন্য দিদিকে বলো কর্মসূচির সাফল্য কিছুটা হলেও আটকে রয়েছে তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে শাসক শিবিরের তরফে। কিন্তু তারপরেও চুপ করে বসে নেই মুখ্যমন্ত্রী। তাই তো এবার সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে জনসংযোগ করার নির্দেশ দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
এমনিতেই লোকসভা ভোটে রাজ্যের ব্যাপক ভরাডুবির পরে যাতে বিধানসভা নির্বাচনে একেবারে ছক্কা হাঁকানো যায় তার জন্য ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মেনে দিদিকে বলো কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছিল। আর এই কর্মসূচিতে দলের বিধায়কদের রাত জেগে গ্রামে গ্রামে মানুষের কাছে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তবে সেই নির্দেশ যে সকলে ঠিক ঠাক মেনে চলে নি তার প্রমান পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যেই সেই সব ফাঁকিবাজ নেতাদের তালিকা তৈরি করে ফেলেছে শাসক শিবির।
তাই তো যাঁরা নির্দেশ মতো কাজ করেননি, তাঁদের জন্য ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে কর্মসূচি পালন করতে বলা হয়েছে। এমনকি সেই ফেসবুক লাইভ মুখ্যমন্ত্রীকে দেখাতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাত্ এক প্রকার শাস্তি দেওয়া হল বলেই মনে করা হচ্ছে। আসলে দিদিকে বলো কর্মসূচির শেষ সময়সীমা ধরা হয়েছিল ডিসেম্বর মাস অবধি। কিন্তু নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা না পূরণ হওয়ায় ১২ জানুয়ারী অবধি সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।