বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এনআরসি নিয়ে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে উত্তর থেকে দক্ষিন,পূর্ব থেকে পশ্চিম সর্বত্র। এই উত্তাল পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং শুক্রবার এক জনসভায় বলেন “কেন্দ্রের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে দেশ থেকে রোহিঙ্গাদের বিতারিত করা।” তাঁর এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
শুক্রবার জম্মুতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন “রোহিঙ্গারা এদেশের আদি বাসিন্দা নয়। সরকার তাই এদের নির্বাসনের কথা ভাবছে। খুব তাড়াতাড়ি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র।” সরকারি সূত্রে খবর ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গা সহ ২২ জন মায়ানমারের বাসিন্দাকে নির্বাসিত করেছে কেন্দ্র। জম্মুতে রোহিঙ্গাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা রয়েছে উল্লেখ করে সিং এদিন বলেন, জম্মুতে বাসিন্দাদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হবে এবং তাদের বায়োমেট্রিকও সংগ্রহ করা হবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, “প্রতিবেশী তিনটি ( আফগানিস্থান, পাকিস্থান ও বাংলাদেশ) দেশের ছয়টি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (হিন্দু, শিখা, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সী এবং খ্রিস্টান) মধ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানরা অন্তর্ভুক্ত নয়। তারা মায়ানমারের বাসিন্দা এবং তাই তারা সিএএ-এর অধীনে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবার যোগ্য নয় । সুতরাং এদেশ তাদের ছাড়তে হবে।” স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, ভারতে এখন প্রায় ১৪,০০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছেন যারা ইউএনএইচসিআর-এ নিবন্ধিত এবং সেখানে অনুমান করা হচ্ছে ৪০,০০০ রোহিঙ্গা ভারতে অবৈধভাবে বসবাস করছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শরণার্থীদের জন্য ভারতের কোনও পৃথক বিধি নেই। ২০১১ সালের শেষদিকে মায়ানমারের তৎকালীন শাসক বাহিনীর অত্যাচারে রোহিঙ্গারা দেশ ছেড়ে ক্রমশ পশ্চিমে পালাতে থাকে। কিছু দল বাংলাদেশে এবং বেশীরভাগ লোক ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে আশ্রয় নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে।