বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বছরের প্রথম দিনে জাঁকিয়ে ঠাণ্ডা পড়লেও 3 ও 4 জানুয়ারি থেকেই দক্ষিণ ও পশ্চিম বঙ্গ সহ রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই হয়েছে বৃষ্টি। আবহাওয়া মেঘলা হওয়ার কারণে তাপমাত্রা খানিকটা বেড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছিল 16 ডিগ্রির কাছাকাছি। যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রী বেশি। একই সাথে সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কাছাকাছি চলে আসে সারাদিন ধরে হালকা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছিল শহরে।
কিন্তু মেঘ সরিয়ে আকাশ পরিষ্কার হতেই আবার স্বমেজাজে ফিরতে চলেছে শীত। জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আজ আজ ভোরেই কনকনে ঠান্ডার সাথে ছিল কুয়াশার দাপট। কলকাতায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 22 ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও সর্বনিম্ন 12 ডিগ্রী। যা স্বাভাবিকের থেকে 1 কম ফলে বেশ শীত অনুভুত অনুভূত হবে শহর জুড়েই।
যদিও এই তাপমাত্রা বেশি দিন স্থায়ী হবে বলে মনে করছেন না আবহাওয়াবিদরা। তাদের মতে শীতের এই ইনিংস ক্ষণস্থায়ী। আবহাওয়াবিদরা আগামী 24 ঘণ্টায় উত্তর ও দক্ষিণের জেলাগুলিতে ঘন কুয়াশার সর্তকতা জারি করেছেন। একইসাথে জানাচ্ছেন জম্মু-কাশ্মীর এবং হিমাচল প্রদেশ হতে পারে ব্যাপক তুষারপাত। মাঝারি তুষারপাত হতে পারে উত্তরখন্ডেও।
তবে শীতের ঝোরো ইনিংস শীত প্রেমীদের মনে আনন্দ যোগালেও আশঙ্কার মেঘ দেখছেন ধান চাষীরা। শীতের এরকম দাপট চলতে থাকলে ক্ষতি হতে পারে বোরো ধান চাষের। পশ্চিম মেদিনীপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের চাষীরা শীতে বোরো ধান চাষ করে। কৃষিবিদরা জানাচ্ছেন যে ঠান্ডার কারণে মরে যাচ্ছে বোরো ধানের অংকুর। যার ফলে এবছর বোরো ধান চাষে প্রচুর ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।