বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সরকারি স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ানো যাবে না , এই আইন বহু দিন ধরেই রয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তরে। কিন্তু সেই আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সরকারি শিক্ষকরা টিউশনি পড়িয়ে যাচ্ছেন । কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা নিজের এই প্রাইভেট টিউশনকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন যে, ছাত্র ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকের মধ্যে এই ধারনা বদ্ধমূল হয়েছে যে অমুক শিক্ষকের কাছে না পড়লে বিদ্যালয়ে ভালো ফল করা যাবে না।
শিক্ষাকে একচেটিয়া ব্যবসা বানানো এই শিক্ষকদের সংখ্যা হাতে গোনা নয়। বস্তুত রাজ্যজুড়ে একটা বড় সংখ্যার সরকারী ও সরকার অনুমোদিত বিদ্যালয়ের শিক্ষক এই ক্ষেত্রে জড়িত। তাদের এই একাধিপত্যের ফলে ক্ষতি হয়েছে কোনো রকম চাকরি না পাওয়া বেকার যুবক যুবতিদের। যারা প্রাইভেট টিউশনকে পেশা হিসাবে বেছে নিতে চায়।
অনেক দিন ধরেই এই সব সরকারি স্কুলে না পড়ানো গৃহশিক্ষকরা আন্দোলন করছেন। সরকার তাদের পক্ষে নির্দেশিকা জারি করলেও কোনো সুরাহা হয় নি। অপরদিকে এতে ক্ষতি হচ্ছে সরকারি স্কুলে পড়ানোর মানেরও। অনেকেই বাড়িতে পড়ান বলে সঠিক সময় স্কুলকে দেননা।
এবার এই ক্ষেত্রে আরও কড়া হতে চলেছে রাজ্য সরকার। শিক্ষা দপ্তর থেকে জারি করা এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আগামী ১০ই জানুয়ারি থেকে সরকারী বা সরকার অনুমোদিত বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আর গৃহশিক্ষকতা করাতে পারবেন না । এছাড়াও সকাল ১১টা ০৫ মিনিটের মধ্যে বিদ্যালয়ে ঢুকতেই হবে, বেরোতে পারবেন না বিকেল সাড়ে ৪ টের আগে। একই সাথে ক্লাসে মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও আরও কড়া হয়েছে রাজ্য ।