এনআরসি এবং সিএএ ইস্যু নিয়ে আগে থেকেই সরগরম গোটা ভারত। ভারতের একাধিক রাজ্যে এখনও একাধিক জায়গায় চলছে অশান্তির আগুন। এই অশান্তির জেরে একাধিক জায়গায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো ইন্টারনেট । তবুও অশান্তির আগুন নেভাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে প্রশাসনকে । এখানেই শেষ নয় এর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রও মোদীকে বাতিল করতে হয়েছে আসাম সফর।
এখন চিন্তার কারন আগামীকাল অর্থাৎ ১১ই এবং ১২ই জানুয়ারি কলকাতা সফরে আসবেন মোদী । কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে আসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর । কিন্তু বিরোধী দলগুলোর মিছিল এবং গো ব্যাক স্লোগান এবার বিপাকে ফেলতে পারে মোদীকে । এন আর সির বিরোধিতা করতে আগামীকাল পথ অবরোধে নামবেন প্রায় ১৭ টি বামপন্থী দল। এমনকি সেই দলে যোগদান করবে আরও জেএনইউ, জেএমইউআই, দিল্লি এবং হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও।
এখানেই শেষ নয়তারা রাজভবন এবং কলকাতা বিমানবন্দরের পথ আটকে দেখাতে চলেছে বিক্ষোভ। রাজ্যে একাধিক এন আর সি বিরোধী ঘটনার পর জেএনইউ তে যে ঘটনা ঘটলো তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। দেশের মানুষ থেকে ছাত্রছাত্রীরা এখন কেউই নিরাপদ নয়। এই বিষয় আরও একবার প্রমাণিত । আর এই ঘটনাকে সমর্থন জানিয়ে কলকাতা সহ দিল্লি একাধিক জায়গায় বুদ্ধিজীবী থেকে সেলিব্রি টিরা পাশে দাড়িয়েছেন । মোদীর আসার খবরে কলকাতার একাধিক জায়গায় পাঠানো হয়েছে এসপিজি। এমনকি কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাও মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ বিমানবন্দরে নামবেন মোদী এবং এরপরে সন্ধ্যে ৭ টা নাগাদ এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে হাওড়ায় হওয়া বিশেষ লাইট এন্ড সাউন্ড শোতে যোগ দেওয়ার কথা। আর এর মধ্যে যাতে নতুন করে কোন অশান্তি না হয় সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে নিরাপত্তা কর্মীদের। রবিবার সকালে ১১ টা নাগাদ পোর্ট ট্রাস্টে যোগ দেবেন মোদী ।সব ঝামেলা বিরোধীদের অবরোধ পেড়িয়ে কিভাবে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এখন অপেক্ষা শুধু কিছু ঘণ্টার ।