বাংলাহান্ট ডেস্ক ঃ একজন দাপুটে ভারতীয় রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্যব বলতে আমাদের যার নাম মাথায় আসে তিনি হলেন ইন্দিরা গান্ধী।এখনও একজন দাপুটে মহিলা বলতেই সবার প্রথম তার নামটাই মাথায় আসে। কিন্তু তার মৃত্যু নিয়ে যে কোন ধোঁয়াশা নেই এমনটা বলাও ভুল। কারণ তার মৃত্যুটাই যে রহস্যজনক।
১৯৬৬ সালে জন্মান ইন্দিরা দেবী, ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এখনও তিনি আমাদের মনে থেকে গেছেন। ভারতের রাজনীতি এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে তার যে বিশেষ অবদান আছে সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা। ইন্দিরা গান্ধীর আমলে আমরা দেখেছি যে ভারত ইউএস এবং চীনের এর থেকে নানারকম ব্যাতিক্রম বার্তা পেয়েছে। আবার একই দিকে ভারতকে তিনি এমনভাবে একটা গঠনমূলক দিক দিয়েছিলো যে ভারত যথেষ্ট একটা শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গঠন করতে সমর্থ হয় ।
আত্মরক্ষার জন্য তিনি সবসময়ই একটি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পড়ে থাকতেন । কিন্তু যেদিন ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যা করা হয় সেদিন এক মাত্র তিনি ওই জ্যাকেট পড়ে ছিলেন না কারন সেই দিন তিনি একটি ম্যাগাজিনের সাক্ষাৎকারে যাচ্ছিলেন । সাক্ষাৎকার দেওয়ার আগে তিনি কনক্রমেই সেটা পড়তে চান নি। কেননা তাকে আগের তুলনায় একটু বেশী মোটা দেখাচ্ছিল। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস। এই জ্যাকেট না পড়ে বেরনোই কাল হয়ে দাঁড়ালো । কারন নিজের বাড়ি থেকে বেড়িয়েই গাড়িতে ওঠার পথেই তিনি বাগানে আক্রমনের শিকার হন। তার বাড়ির বাগানে তার দুই দারোয়ান বিন্ত সিং এবং সতওয়ান্ত সিং তাকে তাক করে গুলি করেন। এক্টা দুটো গুলি নয় প্রায় ২৫ টি বুলেট তার শরীর ভেদ করে যায়। এইভাবেই নিজের রক্ষাকর্তাই তাকে মেরে দেন। যদিও মৃত্যুর এত বছর পরেও এই নিয়ে রয়েছে নানান জল্পনা কল্পনা। কিন্তু তাও তিনি আমাদের মনে অম্লিন আজও ।