বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষকদের ক্ষোভ বহুদিনের। যা ডিএ বেড়েছে তাতে বেতন ভারসাম্য তো হয়ই নি উল্টে প্রাথমিক শিক্ষায় যুক্ত হয়েছে পঞ্চম শ্রেণি।সাথে যোগ ক্রীড়া ক্লাসও। এবার সেই তালিকা দীর্ঘতর করে যুক্ত হচ্ছে দুর্বল ও পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের বিশেষ ক্লাস।
প্রথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলিকে দেওয়া মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই নির্দেশ এসে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। যা নিয়ে জমছে ক্ষোভ।
পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের জন্য এই বিশেষ ক্লাস নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে।রাজ্যের নতুন পাস-ফেল নীতিতে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ বা পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের বিশেষ ক্লাস নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। তাদের নতুন করে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করার জন্যই এই বিশেষ ক্লাস নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
তৃতীয় সামেটিভ পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ও ফল প্রকাশের আগের সময়ে এই ক্লাস করাতে হবে। এই দুই তিন সপ্তাহে শিক্ষকরা খাতা দেখবেন, রেজাল্ট তৈরি করবেন নাকি প্রতিদিন ক্লাস নেবেন? প্রশ্ন উঠছে। এই ভাবে খাতা দেখা হলে তার মান নিয়েও প্রশ্ন থাকবে। পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ শুরুর কাজই বা হবে কি করে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই নির্দেশ ক্ষোভের সঞ্চার করেছে শিক্ষকদের মধ্যে। অনেক কম বেতন পেয়েও এত কাজ করবেন কেন সেই নিয়েই জমছে ক্ষোভ। একই সাথে শিক্ষাবিদরা এই রকম সিদ্ধান্তে আগামী সময়ে রাজ্যের শিক্ষা ও মূল্যায়নের মান নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছেন। সবমিলিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্তে আরো একবার প্রশ্নের মুখে পড়তে চলেছে শিক্ষার মান।