বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডে স্টারকিডদের মধ্যে সইফ-কন্যা সারা আলি খান জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে নিঃসন্দেহে সবার ওপরে থাকবেন। কিন্তু বয়সটা যদি আরও কমিয়ে দিই অর্থাৎ নেহাত খুদে তারকাসন্তানদের তালিকাতেও কিন্তু সইফ-সন্তানই রয়েছে। বুছতেই পারছেন বলা হচ্ছে পতৌদি পরিবারের সবথেকে ছোট নবাব তৈমুর আলি খানের কথা। সবেমাত্র তিন বছরে পা দিয়েছে সে। যত দিন যাচ্ছে যেমন তৈমুরের মিষ্টত্ব বেড়ে যাচ্ছে, তেমনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তার জনপ্রিয়তা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৈমুরকে নিয়ে উত্তেজনা দেখার মতো। কিন্তু তার সঙ্গে সারাক্ষণ ছায়ার মতো লেগে রয়েছেন যিনি অর্থাৎ তৈমুরের ন্যানিও ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়ে গিয়েছেন।
তৈমুর যেখানে যায় সেখানেই তার সঙ্গে সঙ্গে থাকেন ন্যানি। সে প্লে স্কুলই হোক বা কোনও আত্মীয়র বাড়িত যাওয়া, সবসময়ই তৈমুরকে কোলে নিয়ে বা তার সঙ্গে সঙ্গে হাঁটতে দেখা যায় এই মহিলাকে। পরনে সাদা বা হালকা নীল পোশাক, কাঁচা পাকা চুল, মুখে সবসময়ই হালকা হাসি লেগেই থাকে তাঁর। তৈমুরকে যেমন তিনি আদর করেন তেমনই প্রয়োজনে শাসনও করেন। তবে পাপারাৎজি তৈমুরের বেশি কাছে ঘেষবার চেষ্টা করলেই রণমূর্তি ধারন করেন তিনি। তৈমুরকেও বেশ খুশি মেজাজেই দেখা যায় ন্যানির সঙ্গে। করিনা ও সইফকে দেখলেও বোঝা যায় তৈমুরের ভার ন্যানির ওপরে দিয়ে তাঁরা যথেষ্ট নিশ্চিন্ত রয়েছেন।
এই ন্যানির সম্পর্কে তাই কৌতূহলের অন্ত নেই নেটিজেনদের। এই কাজের জন্য তিনি কত মাইনে পান সেই নিয়ে বহু জল্পনা-কল্পনা চলেছে। শোনা গিয়েছিল, তৈমুরের ন্যানির কাজের জন্য নাকি ২ লক্ষের কাছাকাছি বেতন পান ওই মহিলা। আবার অনেকের মতে তাঁর বেতনের অঙ্কটা নাকি আরামসে টেক্কা দিতে পারে যেকোনও বড় সরকারী অফিসারকে।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় এই বিষয়ে করিনাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এই গুঞ্জনের বিষয়ে কিছুই জানতেন না তিনি। তাঁরা এই বিষয়ে কাউকে কিছু বলেনওনি তা সত্ত্বেও কীভাবে ব্যাপারটা প্রকাশ পেল তা নিয়েও বিষ্ময় প্রকাশ করেন করিনা। অবশ্য এর আগে করিনা সইফ দুজনেই জানিয়েছিলেন যে সন্তানের সুরক্ষার কাছে অর্থটা কিছুই না। ন্যানির কাছে তৈমুর সুরক্ষিত থাকে তাই তাঁরাও নিশ্চিন্ত থাকেন।