বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কাশী বিশ্বনাথ মন্দির হিন্দুদের জন্য এক পরম পবিত্র মন্দির। সারা পৃথিবী থেকে হাজার হাজার লোক সারাবছরই কাশী আসেন। এবার কাশী বিশ্বনাথকে দর্শন করতে গেলে পড়া যাবে না কোনো পশ্চিমী পোষাক জানানো হল মন্দিরের তরফ থেকে।
পুরুষ ও মহিলাদের জন্য তৈরী হবে নতুন পোষাক বিধি। শিবলিঙ্গ স্পর্শ করতে গেলে ছেলেদের ধুতি-কুর্তা আর মেয়েদের শাড়ি পরতে হবে। এই নিয়ম মাফিক পোশাক পরলেই তবে ঢুকতে দেওয়া হবে মন্দিরের গর্ভগৃহে। ১১টার মধ্যাহ্ন ভোগের সময় পর্যন্ত ভক্তরা কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের শিবলিঙ্গ দর্শন ও স্পর্শ করতে পারবেন। পশ্চিমী পোষাক পড়লে ঢুকতে দেওয়া হবে না গর্ভগৃহে।
স্কন্দ পুরাণের কাশীখণ্ডে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের উল্লেখ পাওয়া যায়। পুরাণে এই শহরকে বিশ্বের প্রথম শহরও বলা হয়। একাদশ শতাব্দীতে হরিশ চন্দ্র মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেছিলেন। ১১৯৪ সালে মহম্মদ ঘোরি বারাণসীর অন্যান্য মন্দিরগুলির সঙ্গে এই মন্দিরটিও ধ্বংস করে দেন। এরপরেই আবার মন্দিরটি পুনর্নির্মিত হয়। এরপর কুতুবুদ্দিন আইবক মন্দিরটি ধ্বংস করেন।আইবকের মৃত্যুর পর মন্দিরটি আবার নির্মিত হয়। ১৩৫১ সালে ফিরোজ শাহ তুঘলক মন্দিরটি আবার ধ্বংস করেন।
১৫৮৫ সালে আকবরের রাজস্বমন্ত্রী টোডরমল আবার মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেন। এরপর ১৬৬৯ সালে আওরঙ্গজেব পুনরায় মন্দিরটি ধ্বংস করে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি করান। এই মসজিদটি আজও মন্দিরের পাশে অবস্থিত। মসজিদের পিছনে পুরনো মন্দিরের কিছু ধ্বংসাবশেষ আজও দেখা যায়। বর্তমান মন্দিরটি ১৭৮০ সালে ইন্দোরের মহারানি অহিল্যা বাই হোলকর তৈরি করে দিয়েছিলেন। ১৮৩৫ সালে পাঞ্জাবের শিখ সম্রাট রঞ্জিত সিংহ মন্দিরের চূড়াটি ১০০০ কিলোগ্রাম সোনা দিয়ে মুড়ে দেন।