রেলের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠকে জানানো হয়েছে যে এবার থেকে একশোটি রুটে প্রায় দেড়শটি বেসরকারি ট্রেন চালানো হবে। আর এই রুটের মধ্যে থাকছে হাওরা-দিল্লি এবং দিল্লি-মুম্বই লাইন। রেল মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এর তৈরি করা এই প্যানেলে ঠিক করা হয় এই নতুন ভাবনার কথা।
\এমনকি রেল পরিচালনার সাথে জড়িত সবকটি ক্ষেত্রে প্রতিনিধিদের সাথে এইদিন বিস্তরে আলোচনা করা হয়। এই বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ভারত ছাড়া বিদেশের কোন সংস্থা যদি রেল এবং পর্যটন সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকে সেই ক্ষেত্রে তাদের ট্রেন চালানোর ছাড়পত্র দেওয়া যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি শর্ত থাকবে ওই সংস্থার মূল্য ৪৫০ কোটি টাকা হতে পারে। এমনকি ১৫ মিনিটের বেশি দেরী হলে সেই ক্ষেত্রে যাত্রীদের ক্ষতিপূরণও দিতে হবে।
পরিষেবা আরও উন্নতমানের করার জন্য ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এমনকি ট্রেনে প্রায় প্রচুর মানুষ অপেক্ষার তালিকায় থাকে এটা একটা বড় সমস্যা। এমনকি অনুন্নত ষ্টেশনগুলোর কথা মাথায় রেখে রুটগুলোকে সাতটি ক্লাস্টারে ভাগ করা হয়েছে। এমনকি এই বেসরকারি ট্রেনগুলোর গতিবেগ নিয়ন্ত্রিত করে ঘন্তায় ১৬০ কিলোমিটার করে দেওয়া হয়েছে। রেলযাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে রেললাইন গুলোকেও আরও উন্নত করা হবে। এই রুটে একটি ট্রেন চলার জন্য যতটা সম্ভব জথাপজুক্ত কাজ চালানো হচ্ছে।
সব ঠিক হওয়ার পর এই বেসরকারি ট্রেনগুলোকে নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে, আর সেই সময়ের মধ্যেই সব কাজ সমাপ্ত করা হবে। ট্রেনের ভাড়া এবং ট্রেনের সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে ট্রেনের কর্তৃপক্ষদের এই স্বাধীনতা দেওয়া হবে। ঠিকঠাক করে কাজ এগোলে আগামী বছরে অর্থাৎ ২০২১ এই এই রুটগুলো খুলে দেওয়া ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই। তাই এখন শুধু ট্রেনের নতুন যাত্রার অপেক্ষার দিন গোনা শুরু।