গতবছর থেকে এই বছরের চলতি মাসের তিনমাস পেঁয়াজের অগ্নিমূল্যে রীতিমতো নাকানিচোবানি খেতে হয়েছে আম জনতাকে । কারন পেয়াজের মুল্য কেজি প্রতি ১৫০ ছাড়িয়ে গেছিলো । এরপর দকানে বাজারে পেঁয়াজের চাহিদাও কমতে শুরু করে। মধ্যবিত্তদের মধ্যে অনেকে পেঁয়াজের পরিবর্তে মুলো খেতে শুরু করে। এমনকি রাস্তার খাবারের দোকান রেস্তোরা সর্বত্র পেঁয়াজের ব্যবহার কমতে শুরু করে।
চোখে জল আনা পেঁয়াজের ঝাঁঝ আর তার স্বাদ ভুলতে বসে ভারতবাসি । পেঁয়াজ কেনার মতন সাধ্য ছিলোনা অনেকেরই তাই অপেক্ষায় ছিল অনেকেই। আর এরই মধ্যে পেঁয়াজের উপকারিতা আর গুনাগুণ জানা সত্ত্বেও মানুষ নিরুপায় হয়ে পেঁয়াজ খাওয়া ভুলতে বসে। কিন্তু এসব কিছুর পরেও পেঁয়াজের দাম কমেনি।বাইশ টাকা কেজি দরে রাজ্যকে পেঁয়াজ বেচবে কেন্দ্র।
ইতিমধ্যেই বিদেশ থেকে ১৮ হাজার কেজি টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে কেন্দ্র। আর এরপরেই জলদি দাম কমতে চলেছে খুচরো বাজারেও, এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। আলু এবং পেয়াঁজের দাম লাগামহীন বেরে যাওয়ার পরে দেশের মানুষের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে । এদিকে দেশ জুড়ে সিএবি , সিএএ , এনপিআর নিয়ে দেশ যখন উত্তাল তখন দেশের অর্থনিতীর হার তলানিতে ।
শেষ দু মাসে খুচরো বাজারে ডবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেলেছিল পেঁয়াজ। প্রবল ক্ষোভের মুখে মিশর,তুরস্ক, আফগানিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে কেন্দ্র। দেশজোড়া বিক্ষোভ শুরু হয়।কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, বিপুল পরিমান পেঁয়াজ আমদানির পর তা গোডাউনে পচছে। রাজ্যগুলি পেঁয়াজ কিনছে না। তবে যদি পেঁয়াজ গুদামে পর্যাপ্ত থাকে, তবে কেন খুচরো বাজারে এসে তা পউছাচ্ছেনা ? সেই নিয়ে দেখা দেখা দিয়েছে ধন্দ। রাজ্য-কেন্দ্র কোনও সরকারের কাছেই এই উত্তর নেই এখনও কেন বাজারে কেজি প্রতি পেঁয়াজ ৭০ টাকা। কি করে দাম কমবে কবে কমবে সেই অপেক্ষায় দিন গুনছে আমজনতা।