কুখ্যাত কট্টরপন্থী জাকির নায়কের বক্তব্য একটি চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। জাকির নায়েক একজন ইসলামী স্কলার হিসেবে পরিচিত তবে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার পরে তার নাম উঠে এসেছে। জাকির নায়েক আজকাল ভারত থেকে পলাতক রয়েছেন এবং মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। তার সংস্থাটিকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এখন সেই জাকির নায়কের বক্তব্য চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছে কারণ তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর উপর বড়ো অভিযোগ এনেছেন।
অভিযোগের পরে কংগ্রেস,এই দুই নেতাকে আক্রমণ করেছে। সিনিয়র কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দোষারোপ করেছেন যে, জাকির নায়েক সেপ্টেম্বর 2019 সালে একটি বক্তব্য দিয়েছিলেন যে মোদী এবং অমিত শাহ তাঁদের বার্তাবাহক বা দূতকে তাঁর কাছে পাঠিয়েছিলেন। অর্থাৎ মোদী ও অমিত শাহ তাদের দূত জাকির নায়েকের কাছে পাঠিয়ে ছিলেন বলেন অভিযোগ তোলা হয়েছে।
নায়েক বলেছিলেন যে তাঁকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে তিনি যদি ৩৭০ অনুচ্ছেদ অপসারণের পক্ষে সমর্থন করেন তবে তার বিরুদ্ধে করা সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করা হবে এবং তাকে দেশে ফেরারও সুযোগ দেওয়া হবে। দিগ্বিজয় সিং বলেছেন যে মোদী জি এবং শাহ জি এই বিবৃতিটির নিন্দা করেননি কেন।
দিগ্বিজয় সিং এ সম্পর্কে একের পর এক টুইট করেছেন এবং লিখেছেন যে যারা তাঁর সাথে একমত নন তাদের একমত হওয়ার জন্য মানাও, যদি না মানে হুমকি দাও, তাও যদি না রাজি হয় টাকার লোভ দেখাও, আর এরপরও যদি না মানে তার উপর মিথ্যে দোষারোপ করে তাকে বদনাম করে দাও। যদি সে রাজি হয়ে যায় তবে সব অভিযোগ বাতিল করে দেওয়া হবে আর যদি না মানে তবে তার উপর রাষ্ট্রদ্রোহী হওয়ার অভিযোগ লাগাও এবং সেটিকে খুব প্রচার করো।
দিগ্বিজয় সিং আরো বলেছেন যে যদি কোনও সুযোগ থাকে যেখানে তাকে ব্যবহার করা যেতে পারে তবে তারা সেটিরই ব্যবহার করবে যেটির উল্লেখ জাকির নায়েক করেছে। তিনি পরবর্তী টুইটে লিখেছিলেন যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যথাক্রমে জাকির নায়েকের অভিযোগকে খণ্ডন করা উচিত। তারা যদি তা না করে তবে বিশ্বাস করা হবে যে ‘বিশ্বাসঘাতক’ জাকির নায়েকের অভিযোগ সত্য।