বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউয়ে উত্তরপ্রদেশ-উত্তরাখণ্ড ‘রাইজিং উত্তর প্রদেশ” অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) অংশ নেন। আর সেখানে তিনি নাগরিকতা সংশোধনী আইন নিয়ে বিরোধীদের উপর জোরদার হামলা করেন। উনি বলেন, CAA এর মাধ্যমে বিরোধীদের বাস্তব চরিত্র সামনে এসেছে।
যোগী আদিত্যনাথ বলেন, বিরোধীরা নাগরিকতা আইন (Citizenship Law) নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এই আইন মানুষকে নাগরিকতা দেওয়ার জন্য, এই আইনে কারোর নাগরিকতা কেড়ে নেওয়া হবেনা। উনি বলেন, আমি দিল্লীতে ১৯ ডিসেম্বরের প্রদর্শনের দৃশ্য দেখেছি, যখন মিডিয়া সেখানে ভিড় জমানো মানুষের কাছে জিজ্ঞাসা করে সেখানে জড় হওয়ার কারণ। তখন তাঁরা বলে, আমাকে একজন বলছে যে এখানে আসলে টাকা দেওয়া হবে, তাই আমি এখানে এসেছি, কিন্তু কি কারণে আমাকে ডাকা হয়েছে সেটা জানিনা।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, যারা ধর্না প্রদর্শনে বসেছেন, তাঁদের কাছে জিজ্ঞাসা করুন কেন তাঁরা ধর্নায় বসেছে, এর উদ্দেশ্য কি? কোন নির্যাতিতর সাহায্য করা কি ভুল। ১৯৫০ সালে নেহেরু লিকায়ত অ্যাক্টের অন্তর্গত ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংখ্যালঘুদের রক্ষা দুই দেশেই করবে। ভারত সেই দায়িত্ব ঠিকঠাক ভাবে পালন করে আসছে।
#News18RisingUP
नागरिकता कानून पर योगी का विपक्ष पर हमला, CAA से इनका वास्तविक चरित्र सबके सामने आ चुका है @AMISHDEVGAN @myogiadityanath @MANMOHAN_RAI24 pic.twitter.com/B4hHYhKHsX— News18 India (@News18India) January 25, 2020
যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ভারতে তিন কোটি মুসলিম ছিল, সেটি এখন ২১ কোটি হয়ে গেছে। কিন্তু পাকিস্তানে ২৩ শতাংশ হিন্দু আজ ১ শতাংশ হয়ে গেছে। বাকিরা কোথায় গেল? তাঁদের জন্য কোন মানবাধিকার নেই। তাঁদের জীবনের সুরক্ষা পাকিস্তান দিতে পারেনি। এখনো সুপ্রিম কোর্টে বালুচিস্তান-হিন্দ সংস্থা একটি আবেদন দাখিল করেছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, আমরা যাব তো কোথায় যাব? মনে করুন ১৯৪৬-৪৭ সালে বালুচিস্তান পাকিস্তানের সাথে যাওয়ার জন্য অস্বীকার করেছিল। আর তখন এই সংবিধানের দোহাই দেওয়া মানুষ গুলো বলত বালুচিস্তান পাকিস্তানের অংশ হওয়া উচিৎ, ভারতে না।
যোগী আদিত্যনাথ বলেন, আজ সেই বালোচ, হিন্দু, শিখ আর অন্যদের সাথে কি হচ্ছে। এবার তো এটা বোঝা যাচ্ছে যে কংগ্রেস ইসাইদেরও বিরোধী। কারণ পাকিস্তানে যেভাবে চার্চে হামলা হচ্ছে, এরকম চলতে থাকলে ওঁরা আর ওদেশে বেশিদিন নেই, ওঁরা এখন পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এদেশে আসছে।
উনি বলেন, যত নির্যাতিত মানুষ আছে, তাঁদের মধ্যে ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ দলিত সম্প্রদায়ের। যখন বহুজন সমাজ পার্টি এটার বিরোধিতা করে, তখন আমার দুঃখ হয়। এরা বাবা সাহেবের ভাবনার থেকে দূরে চলে গেছে। সিএএ নিয়ে এদের আসল চেহারা সামনে এসেছে।