বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তারা এটিএমের উপর নজর রাখতেন সারাক্ষণ। অশিক্ষিত বা বয়স্ক মানুষ এটিএমে ঢুকলেই তাঁরাও সাহায্য করার অছিলায় কিয়স্কে ঢুকে পড়তেন। তারপর কয়েক সেকেন্ডের জন্য তাঁদের এটিএম কার্ড হাতে নিয়ে স্কিমিং ডিভাইসের মাধ্যমে সমস্ত ডেটা স্ক্যান করে নিতেন। পাশাপাশি এটিএম পিনও জেনে নিতেন তাঁরা। তারপর নকল কার্ড বানিয়ে সেটা দিয়ে এটিএম থেকে টাকা তুলে নিতেন। এই জালিয়াতি করে দেশের সংবাদ পত্রের শিরোনামে এসেছিল বিহারের গয়া গ্যাং।
এবার অনলাইনে প্রতারণাকে কার্যত শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে সাইবার বিশেষজ্ঞ দের মাথা ব্যাথার কারন হয়েছে আরেক পড়শি রাজ্য ঝাড়খন্ডের জামতাড়া গ্যাং। অনলাইনে প্রতারণার জাল এতখানি যে ২০১৫ থেকে ২০১৭, ২ বছরে তদন্তের স্বার্থে যেতে হয়েছে দেশের ১২ রাজ্যের পুলিশকে। কুখ্যাতির কারনে জামতাড়া নিয়ে ওয়েব সিরিজও তৈরি হয়েছে।
অনেকেই টাকা ফেরত পেতে অনলাইন সংস্থার কাস্টমার কেয়ার নম্বর গুগলে সার্চ করেন। সেখানে তারা পান কাস্টমার কেয়ারের ভুয়ো কিছু নম্বর । যে গুলি আদতে প্রতারকদের। ফোনে গ্রাহককে আশ্বাস দেওয়া হয়, টাকা ফেরত পেতে গেলে মানতে হবে কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি। এরপর গ্রাহকে একটি লিংক পাঠানো হয়। সেই লিংকে ক্লিক করে anydesk অথবা teamviewer app ডাউনলোড করতে বলা হয়। ভেরিফিকেশন ফি বাবদ Gpay দিয়ে ১০ টাকাও পাঠাতে বলা হয়।
এই কাজ গুলি করলেই আপনার ফোনের রিমোট অ্যাকসেস পদ্ধতিতে Gpay-এর mpin ফাঁস হয়ে যায় প্রতারক দের কাছে। যার মাধ্যমে তারা লুটে নিতে পারে আপনার সঞ্চয়। আমাদের রাজ্য-এর আসানসোলের অনেক যুবকই জামতাড়া থেকে প্রতারণার প্রশিক্ষণ পায় পায় বলেও খবর গোয়েন্দা সূত্রে।