বাংলা হান্ট ডেস্ক: ডিম পাড়লে মুরগি বা হাস কিছু একটা বের হয়। তবে এই ডিম ফাটালে কিবের হবে তা বড় বড় বিজ্ঞানীদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এখানে শুধু একটি নয় হাজার হাজার একসাথে পড়ে রয়েছে সমুদ্রসৈকতে।
হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন ঠিকই দেখেছেন। সেই দিনের কথায় বলা হচ্ছে কিন্তু এত গুলি কিসের? পেঙ্গুইন নাকি কোন প্রাণীর ডিম? নাকি কচ্ছপের ডিম? এই নিয়ে প্রশ্ন এলাকার ঘোরাফেরা করতে থাকে। সেখানকার মানুষের মধ্যে কিন্তু তার মীমাংসা হতে অনেকটা সময় লেগে যায়।
এই বরফ-ডিম আসলে কী? ডিম নয়, আসলে এগুলো বরফের টুকরো। ফিনিশ আবহাওয়াবিদ জওনি ভাইনিও জানিয়েছেন, বরফ জমে শক্ত হয়ে সমুদ্রের নোনা হাওয়ার সংস্পর্শে এলে এমন ডিমের মতো আকার নেয়। তবে বরফ জমে কেন এমন আকার নেয় তার সঠিক কারণ বা সূত্র নেই।সারি সারি ছেয়ে আছে বোথনিয়া উপসাগরের তীরে ফিনল্যান্ডের হাইলুয়তো দ্বীপের উপকূল জুড়ে। বরফের ডিম। এমনও হয়? আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা মনে করেন, তাপমাত্রা যদি হিমাঙ্কের নীচে থাকে এবং একই সঙ্গে জলের তাপমাত্রা ‘ফ্রিজিং পয়েন্ট’-এ পৌঁছলে এমন বরফ-ডিম তৈরি হতে পারে। তার সঙ্গে অবশ্য আরও কিছু উপসর্গ যোগ হয়। যেমন, সৈকতের লবণাক্ত ঢালু জমি, শান্ত ঢেউ এবং নোনা হাওয়া। এই সবকিছু মিলে গেলে বরফ জমে এমন চকচকে ডিমের আকার নেয়। হ্যাঁ এবার হলো আপনার চিন্তার সমাধান।
আসলে এই ডিম গুলো কি এই নিয়ে ঘনীভূত রহস্য। সেই রহস্যের উন্মোচন হওয়াতে আপনি হয়তো এবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। তবে এমন বিরল দৃশ্য যদি আপনি কখনও দেখতে পান তবে ভয় পাবেন না কিন্তু। সেটাকে অপেক্ষায় থাকবেন সে পেছনে বৈজ্ঞানিক কোন কারণ আছে নাকি অলৌকিকতা বিরাজ করছে?