বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পুলিশের উর্দিতেই সোনা চুরির অভিযোগ উঠল স্বয়ং পুলিশের বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তার হলেন এএসআই পদের অধিকর্তা নিজেই। মালদহের (Maldha) ইংরেজবাজার থানায় ঘটে এই ঘটনাটি। ছিনতাইয়ের অভিযোগে আদালতে চালান করা হল অভিযুক্ত অফিসারসহ সিভিক ভলেন্টিয়ারও।
২০১৯ সালের ২৯ মে মাসে কলকাতার বরানগরের ( Baranagar) বাসিন্দা স্বাগত মণ্ডল নামে এক সোনা পাচারকারীর ১ কেজি ৪০০ গ্রাম সোনা দক্ষিণ দিনাজপুরে (South Dinajpur) নিয়ে এসেছিল। ওল্ড মালদহ থানা এলাকার অন্তর্গত জাতীয় সড়ক দিয়ে যাবার সময় মালদহের ইংরেজবাজার থানার এএসআই রাজীব পাল তাঁকে আটকায়। এবং তাঁর থেকে ওই সোনা ছিনতাই করেন অভিযুক্ত অফিসার এবং তাঁর সঙ্গে থাকা ভলেন্টিয়ার ইলিয়াস- সহ আরও বেশ কয়েকজন সোনার দোকানের কর্মী।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাগত মণ্ডল ওল্ড মালদহ থানায় অভিযোগ জানায়। কিন্তু তাঁর কাছে সেই সময় সোনা ছিনতাইয়ের যথেষ্ট নথি ছিল না। ১১ নভেম্বর থানায় মামলা কোর্টে উঠলেও তা পুলিশের অবহেলায় বিশেষ দূর এগোয়নি। এই ঘটনার পর সম্প্রতি আরও একটি সোনা ছিনতাইয়ের ঘটনা সামনে আসে।
গত ১১ ই ফেব্রুয়ারী মালদহের অভিরামপুর এলাকা থেকে এক মহিলার সোনা ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে তিনজনের বিরুদ্ধে। এই ছিনতাইকারীরা পুলিশের পোশাক পরিহিত ছিল বলে জানায় তিনি। এই ঘটনার পরই কানে জল যায় মালদহ পুলিশের। অভিযুক্তদের শীঘ্রই ধরতে হবে, এমন নির্দেশ দেন খোদ পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। এরপর এই ঘটনার তদন্তের জেরে উঠে আসে আগের সোনা চুরি যাওয়ার ঘটনাটি। যারফলে গ্রেপ্তার করা হয় এএসআই রাজীব পাল এবং তাঁর সঙ্গীদের। পুলিশের ধারণা সোনা নিয়ে আসা স্বাগত মণ্ডলের সঙ্গে আগে থাকতেই যোগাযোগ ছিল পুলিশের। নাহলে একদম সঠিক সময়ে তাঁর কাছে তাঁরা কিভাবে পৌঁছলেন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের মালদহ সিজেএম আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁদের ছ’ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।