বাংলাহান্ট ডেস্কঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) ডাকে ভুবনেশ্বর (Bhubaneswar) উড়ে গেছিলেন বাংলার (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানে গিয়ে তিনি দিল্লিবাসিদের (Delhi) জন্য পুরীর (Puri) মন্দিরে পূজোও দিয়েছিলেন। এই বৈঠকে মাওবাদী-সমস্যা সমাধান, জলবন্টন সমস্যার সমাধান, কয়লার রয়্যালিটি-সহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। এবং সবশেষে মমতা-অমিত একান্ত আলোচনা হবে বলেও জানা গেছে। এইসব ঘটনার জন্য বারবার তাঁকে অনেক সমালোচনার সম্মুখীনও হতে হয়।
২৪ তম পূর্বাঞ্চল কাউন্সিল বৈঠকে যোগ দিতে ভুবনেশ্বর যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার এই বৈঠকে ৫টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই বৈঠকে অমিত- মমতার মধ্যে সেটিং আছে বলে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। আজ অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ১০ টায় ভুবনেশ্বরের লোকসেবা ভবন চত্বরের নিউ কনভেনশন সেন্টারে বসবে এই সভা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও এই বৈঠকে অংশ নেবেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar), ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren) ও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (Naveen Pattanayake)।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠকে যোগদানকে কেন্দ্র করে সিপিএম (CPIM) নেতা মহম্মদ সেলিম (Mohammad Selim) বলেন, ”স্বাধীনতার পর থেকে হিংসাগ্রস্ত এলাকায় যেতে হয় বাংলার সাংসদের। এখন আর সেটা হয় না। যেহেতু এখানে মুখ্যমন্ত্রী কোনও বক্তব্য করছে না, তাই তাঁর দলের নেতারাও নির্বাক দর্শক।
এর আগে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে তিনি রাজীব কুমারের জন্য ব্যবস্থা করেছিলেন। এর বদলে লুকিয়ে লুকিয়ে রাজ্যে এনপিআর, ডিটেনশন ক্যাম্প করা হয়েছে। আর তার বিনিময় স্বরূপ সারদা, নারদার তদন্তকারী অফিসারদের রাজ্য থেকে সরিয়ে নিয়েছে কেন্দ্র। সুতরাং ‘দিদিকে বলো’ তে বলে কোন লাভ হবে না। দিদি এ বিসয়ে কিছুই বলবেন না। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবিষয়ে একদমই চিন্তিত নন। তিনি সর্বদাই নিজের অবস্থান বাঁচাতে ব্যস্ত থাকেন”।
এই বৈঠক প্রসঙ্গে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) বলেন,”বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দিল্লির সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আঁচ অনুভব করতে পারছেন না? ঘটনার কোন নিন্দা করলেন না তিনি। অবাক হয়ে গেলাম যে এই দাঙ্গার কোন প্রতিবাদ নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ব্যর্থতার প্রতিবাদে মিটিং বাতিল করা উচিত।”