শব্দজব্দঃ ট্রাফিক সিগন্যালে এবার যত হর্ণ তত অপেক্ষা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়ালে আমাদের ধৈর্যের বাঁধ প্রায় সময়ই ভেঙ্গে যায়। ট্রাফিক সিগন্যালে আমরা প্রতিনিয়ত আমরা অবিরত হর্ণ বাজিয়ে করি শব্দ দূষন। এবার এই শব্দ দূষন রুখতেই সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পুলিশ চালু করেছে এক অভিনব শাস্তির। Honk More, Wait More নামে এই উদ্যোগে যত হর্ণ দেবেন তত বেশী অপেক্ষা করতে হবে আপনাকে।

প্রসঙ্গত,  প্রথম বিশ্বের বেশ কিছু দেশে হর্ন নিয়ে ট্রাফিক নিয়মে অত্যন্ত কড়াকড়ি রয়েছে। কেউ যদি অপ্রয়োজনে হর্ন বাজান সেক্ষেত্রে তাঁকে ফাইনও করা হয়।

no horn zone dhaka 696x391 1

মুম্বাই শহর এক ঘন্টার মধ্যে প্রায় 18 মিলিয়ন বার হর্ণ দেয় এবং মুম্বইয়ের একজন চালক একদিনে 48 বার হর্ণ বাজান।সিগন্যালগুলিতে অপ্রয়োজনীয় হর্ণ বন্ধ করার প্রয়াসে মুম্বই পুলিশ ‘দ্য পিনিশিং সিগন্যাল’ নামে একটি উদ্যোগ চালু করেছিল।দেশের আরেক বড় শহর ব্যাঙ্গালুরুও ট্র্যাফিক সিগন্যালগুলিতে অবিরাম হর্ণ এর সাথে লড়াই করে এবং মুম্বাই মডেলটি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নেটিজেনরাও মুম্বই পুলিশের এই পদক্ষেপকে দারুণ ভাবে প্রশংসা করেছে। অনেকেই বলছেন এই ব্যবস্থা যদি দেশের সর্বত্র চালু করা যায়, তবে শব্দ দানবের হাত থেকে কিছুটা মুক্তি মিলতে পারে।

শব্দদূষণ বলতে মানুষের বা কোনো প্রাণীর শ্রুতিসীমা অতিক্রমকারী কোনো শব্দ সৃষ্টির কারণে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে বোঝায়। যানজট, কলকারখানা থেকে দূষণ সৃষ্টিকারী এরকম তীব্র শব্দের উৎপত্তি হয়। মানুষ সাধারণত ২০-২০,০০০ হার্জের কম বা বেশি শব্দ শুনতে পায় না। তাই মানুষের জন্য শব্দদূষণ প্রকৃতপক্ষে এই সীমার মধ্যেই তীব্রতর শব্দ দ্বারাই হয়ে থাকে।

 

সম্পর্কিত খবর