সোশ্যাল মিডিয়া কেন ছাড়ছেন, ঘৃণা ছাড়ুন: নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমন রাহুল গান্ধীর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সমস্ত স্যোসাল মিডিয়া থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তে যেমন গেরুয়া বাহিনী হতাশ হয়েছেন, তেমনি বিরোধীরা এই নিয়ে নানা রকম টিপ্পুনিও কেটেছেন। গত সোমাবার প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ট্যুইটের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) তাঁর বাঁকা মন্তব্য করতে ছাড়েননি।

modi 22

গত সোমবার নটা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী এক ট্যুইট করে লেখেন, ‘’ভাবছি এই রবিবার ফেসবুক (Facebook), ট্যুইটার (Twitter), ইউটিউব (Youtube), ইনস্টাগ্রামের (Instagram) মতো সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরে দাঁড়াব। পরে পোস্ট করে সব জানিয়ে দেব।‘’ প্রধানমন্ত্রীর এই ট্যুইট ঘিরেই জল্পনা শুরু হয়ে যায়। বিভিন্ন জনে বিভিন্ন মন্তব্য করতে থাকেন। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ট্যুইটে বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া না ছেড়ে, ঘৃণা ছাড়ুন’। দিল্লির কংগ্রেস নেতা অলকা লাম্বাও বলেন, যাক বাঁচা গেল। জিগনেশ মেওয়ানিও বলেন, এই ডিজিটাল ইন্ডিয়ার যুগে প্রধানমন্ত্রী কেন সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে দিচ্ছেন।

স্যোশাল নেটয়ার্কিং সাইটে প্রধানমন্ত্রীর ফ্যান ফলোয়িং অন্যান্য নেতা মন্ত্রীদের থেকে বহু গুণ বেশি। টুইটারে নরেন্দ্র মোদীর ফলোয়ারের সংখ্যা ৫ কোটি ৩৩ লাখ। ফেসবুকে তাঁকে ফলো করেন প্রায় ৪৪,৭২২,১৪৩ জন মানুষ। ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ইনস্টাগ্রাম তাঁর সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৫ লাখ এবং ইউটিউবে রয়েছে ৩ কোটি ৫২ লাখ।

যেকোনো বিশেষ দিন হোক, বা কারুর জন্মদিন হোক- প্রতি ক্ষেত্রেই প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে সকলকে শুভেচ্ছা বার্তা প্রেরণ করতেন। কিন্তু এত জনপ্রিয়তা থাকা স্বত্বেও প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঠিক কারণ অবশ্য এখনও জানা যায়নি।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর