চীনের করোনাভাইরাস আতঙ্ক এতোটাই ছড়িয়ে গিয়েছে যে তার প্রভাব দেশের জনগনের ওপর পড়তে শুরু করেছে। আর সেই প্রাভাব সারা বিশ্বে ছড়িয়ে গিয়েছে।আর এবার করোনা আতঙ্ক ছড়িয়েছে ইরানে ।চীনের পর করোনার ভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ইরানের। ইরানে ভাইরাসের সংক্রমণের অবস্থা এতটাই খারাপ যে এই রোগটি অনেক সরকারী কর্মকর্তাকে আটক করেছে। এমনকি ইরানের ইমার্জেন্সি মেডিকেল সার্ভিসের চিফও করোনার ভাইরাসে আক্রান্ত। ইরান থেকে করোনার ভাইরাসের সংক্রমণ কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে তা এসব ঘটনা থেকে অনুমান করা যায়।
কতজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তা জানা সম্ভব নয়। কিন্তু ইরানি পার্লামেন্টের ৮০ শতাংশ সদস্য করোনার ভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছেন। ইরানের একটি টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, ইরানের প্রায় 23 জন সংসদ সদস্য করোনার ভাইরাসে ভুগছেন ।এত বড় সংখ্যক সংসদ সদস্যের করোনার ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে। ইরানের সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার আবদুল রাজা মিস্রি বলেছেন যে “সংসদের ২৯০ জন সদস্যের মধ্যে ২৩ জন করোনার ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে”।এর আগে চিনে প্রথম এই ভাইরাস ধরা পড়ে, আর সেই আতঙ্ক আস্তে আস্তে সমস্ত বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। পাশাপাশি বলা যেতে পারে ভাইরাসের প্রভাবে এখনো অনেক মানুষ মারা গিয়েছেন। ইরানের উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনার ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আর তার পাশাপাশি ইরানের নাগরিকদের প্রশাসনের দেওয়া নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
আর এখন পরিস্থিতি এমন দিকে গেছে যে , ইরানে সংক্রমণের ঘটনা বাড়ছে। খবর মিলেছে যে ভাইরাসে সংক্রামিত প্রায় ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভাইরাস সংক্রমণের কারণে একজন বড় সরকারী কর্মকর্তার মৃত্যুর খবরও উঠে এসেছে। আর এই নিয়ে আরো একবার দেশের নাগরিকদের সচেতন করে আয়াতুল্লাহ আল খামানী বলেছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সশস্ত্র বাহিনীকে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে পূর্ণ সমর্থন দেওয়া উচিত। তিনি বলেছিলেন যে ইরানের প্রশাসনের উচিত ভাইরাসটির স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা এবং এর সংক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য সরবরাহ করা।