বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে কলকাতা হাইকোর্টকেও। সোমবার থেকে বন্ধ হাইকোর্টের স্বাভাবিক কাজকর্ম। খবর, বাড়ি থেকে কর্মীদের কাজ করার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। গোটা হাইকোর্ট চত্বরে রবিবার থেকেই শুরু হয়েছে সাফাই পর্ব। আজ থেকে রাজ্যের সমস্ত আদালত কাজ নিয়ন্ত্রিত হবে৷ অর্ধেক বা তারও কম কর্মী নিয়ে কাজ চলবে আদালতের ৷ কর্মী সংখ্যা কম থাকলে আদালতের কাজের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকছে৷
কলকাতা হাইকোর্টের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ, আন্দামান-নিকোবর সার্কিট বেঞ্চ, জেলা ও মহকুমা আদালত সহ কলকাতা হাইকোর্টের মূল কাজকর্ম ব্যাহত হবে৷ জরুরি শুনানি ছাড়া আর কোনো কাজ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ এজলাসে শুধুমাত্র মামলাকারী ও আইনজীবীরা উপস্থিত থাকতে পারবেন৷
পাশাপাশি, করোনা আতঙ্কের জেরে সমস্ত স্কুল ও কলেজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রাজ্যের স্কুল কলেজ এবং মাদ্রাসা-সহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যদিও বাতিল হচ্ছে না উচ্চমাধ্যমিকের কোনো পরীক্ষাই।
পাশাপাশি, ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ খড়গপুর IIT। নির্দেশিকা মেনে ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছে পড়ুয়ারা। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ক্লাস এবং পরীক্ষাও স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদেরও হোস্টেল ছাড়তে বলা হয়েছে। যতদিন না পরবর্তী নির্দেশিকা বেরোচ্ছে ততদিন পর্যন্ত পড়ুয়াদের হোস্টেলে ফিরতে মানা করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। ৩১ মার্চের পর পরবর্তী নির্দেশিকা জারি করবে কর্তৃপক্ষ।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৫১ জনে।চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পরিস্থিতি সাময়িক উন্নত হলেও ইরান ও ইতালিতে মৃত্যু মিছিল বাড়ছেই। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ইরানের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে সেখানে বিশাল-বিশাল গণকবর খোঁড়া হয়েছে। এমনকি দেশের অনেক স্কুল, অফিস, কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।