বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কাজের প্রতি নিষ্ঠা, মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা কোন জায়গায় থাকলে এমনটা করা যায়। COVIED-19 নিয়ে সারা বিশ্ব তোলপাড়। মানুষ ভয়ে ঘর থেকে বেরোচ্ছে না। পাশাপাশি চলছে লকডাউন। তার জেরে খুব দরকার ছাড়া কেউ ঘর থেকে বেরোনো বারণ। সারা পৃথিবী, সারা দেশ লড়ছে করোনাভাইরাসের (corona virus) বিরুদ্ধে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ রুখতে লড়ছে মধ্যপ্রদেশও (Madhya Pradesh)। আর সেই লড়াইয়ে ব্যক্তিগত আবেগ, শারীরিক যন্ত্রণা দূরে সরিয়ে, করোনার থাবা থেকে মানুষ মুক্ত করতে দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন ভোপাল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ( municipal corporation) এক আধিকারিক এবং এক কর্মী।
আশরাফ আলি (Ashraf Ali) ভোপাল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সাফাই বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক। বুধবার সকাল আটটায় তাঁর কাছে বৃদ্ধা মায়ের মৃত্যু সংবাদ পৌঁছয়। সেই মুহূর্তে কাজ ছেড়ে তিনি যদি চলে যেতেন, তাহলে হয়তো কেউই কোনও অভিযোগ করত না। কিন্তু যাননি আশরাফ আলি। সারাদিন ডিউটি করার পর বিকেলে গিয়ে মায়ের শেষকৃত্যে যোগ দেন।
ভোপাল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ৩৫টি ওয়ার্ড। বিপুল সংখ্যক মানুষের বসবাস। এই সময়ে শহর পরিচ্ছন্ন রাখাটা কার্যত চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই ব্যক্তিগত আবেগ দূরে সরিয়ে রেখে সারাদিন দফতরে থেকে যান স্যানিটাইজেশন ইনচার্জ। পরিচালনা করেন শহর পরিষ্কারের কাজ।
এনডিটিভিতে এক সাক্ষাৎকারে এই আধিকারিক বলেছেন, “আমি সকাল আটটায় আমার মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়েছিলাম। কিন্তু যাইনি কারণ, আমি চাইনি অন্য মায়েদের বিপদে ফেলতে। আমার মাতৃভূমিকে বিপদে ফেলতে। সেই মুহূর্তে ওটাই ছিল আমার একমাত্র কর্তব্য।”
আরও এক সাফাই বিভাগের কর্মীর কথা জানা গিয়েছে। তাঁর নাম ইরফান খান। গত সোমবার ভোপাল শহরে পথদুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন ইরফান। তাঁর কলারবোন ভেঙে যায়। ডান হাতের হাড়েও চিড় ধরে। চিকিৎসকরা ক’টা দিন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিলেও শোনেননি ইরফান। বলেছেন, এখন সাফাইয়ের কাজ না করে বাড়িতে বসে থাকা মানে অপরাধ। কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখছেন, ‘ভোপালের দুই রিয়েল হিরো।’