বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতের ইতিহাসে চাণক্য একজন মহান তথা বিচক্ষণ পুরুষ। একাধারে তিনি ছিলেন রাজপরামর্শদাতা, শিক্ষক, দার্শনিক ও অর্থনীতিবিদ। তাঁর সময়কাল থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁর পরামর্শ ও নীতি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রচুর সাহায্য করেছে। চাণক্যের লেখা ‘চাণক্য নীতি’ ও ‘অর্থশাস্ত্র’ বইদুটি সমকালীন সমাজ ও অর্থনীতিতেও একই রকম তাৎপর্যপূর্ণ।
চাণক্য তাঁর চাণক্য নীতিতে বেশ কয়েকটি উপদেশ লিখে গিয়েছেন। চাণক্যের মতে, কোনও কিছুই কালের জন্য ছেড়ে রাখা উচিত নয়। এর জন্য পরে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। চাণক্য নীতিতে মানুষকে অলসতা ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এই কারণেই এখনও পর্যন্ত চাণক্যকে সবাই মেনে চলেন।
চাণক্যের মতে, এমন কিছু কিছু সময় ও পরিস্থিতি আসে যখন কোনও পুরুষের জীবনে সঙ্কট এসে উপস্থিত হয়। সেই সময় নিজেকে সামলানোটাই কঠিন হয়। জেনে নিন সেই পরিস্থিতি কি কি-
পত্নির মৃত্যু- বৃদ্ধাবস্থায় পত্নির মৃত্যু হলে গভীর সঙ্কটের সম্মুখীন হতে হয় পুরুষকে। তরুণ বয়সে আবার বিয়ে করা যায় কিন্তু বৃদ্ধাবস্থায় আর তা সম্ভব নয়। তাই সেই সময় সাহায্য হারিয়ে যায় তার জীবন থেকে।
অন্যের গোলামি- অন্যের বাড়িতে থেকে তার গোলামি করা কোনও মানুষের সবথেকে বড় দুর্ভাগ্য। এই পরিস্থিতিতে জীবনে স্বাধীনতা থাকে না। দুঃখ নেমে আসে মানুষের জীবনে। তাই সবার উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা।
শত্রুর হাতে টাকা- চাণক্যের মতে আপনার অর্থ যদি আপনার শত্রু বা কোনও অসৎ ব্যক্তির কাছে চলে যায় তাহলে তা খুবই দুর্ভাগ্যের প্রতীক। সে আপনার অর্থ আপনারই বিরুদ্ধে ব্যবহার করে আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে।