বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সমগ্র বিশ্বে করোনা (COVID-19) আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়ে চীন (Chaina) এখন নিজের দেশের নাগরিকদের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে। করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহান (Wuhan) শহরে কিছুদিন লকডাউন রাখার পর সম্প্রতি তা সকলের জন্য উম্নুক্ত করে দেয় চীন সরকার। বিগত ১ সপ্তাহ ধরে চীনে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আর বৃদ্ধি পাচ্ছিল না। কিন্তু উহান শহর থেকে লকডাউন তুলে নেওয়ার পরই নতুন করে ১৫০০ মানুষের করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। এই সংখ্যা আরও বেশিও হতে পারে।
করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য বর্তমানে বিভিন্ন দেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল। নিজের দেশের নিম্নমানের বিভিন্ন চিকিৎসা দ্রব্য রপ্তানি করে অর্থনৈতিক বুনিয়াদি মজবুত করতে চেয়েছিল চীন। সেই কারণে চীন তাঁদের সমস্ত কারখানা খুলে দেয়। প্রায় দেশের ৭৬ শতাংশ আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনে।
করোনা ভাইরাসের প্রাথমিক ভাগে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেও বুঝতে পারেন না, যে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কারণ প্রথমে অনেকের শরীরেই কোন রোগ লক্ষণ প্রকাশ পায় না। কিন্তু চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে যেসকল ব্যক্তি বাইরে বেরিয়েছে কাজের জন্য, তাঁদের একটা সাধারণ থার্মাল স্ক্রীনিং করে ছেড়ে দিয়েছে। যার ফলে আক্রান্তের সংখ্যা এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু চীনের সরকার তাঁর নাগরিকদের কথা আগে ভাবছে না। চীন সরকার ভাবছে এই সময়ে অন্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করে অর্থনীতিকে আরও মজবুত করতে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথমে যে পরিমাণ মানুষ চীনে আক্রান্ত হয়েছিল, তাতে করে চীনের অর্থনীতি এখন অত্যন্ত দুর্বল পরিস্থিতিতে রয়েছে। আর এখন চীন যে তাঁদের কারখানায় দ্রব্য সামগ্রী প্রস্তুত করতে চাইছে, তাঁর জন্য কাঁচামাল কেনার জন্যও পর্যাপ্ত অর্থ নেই চীনের কাছে। আগেই ২০০-৩০০ আরব ডলার ক্ষতি হয়ে গেছে, আর এখন নতুন করে কারখানা খুলে দ্রব্য প্রস্তুত করতে আরও অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে চীন।
লোভের বশবর্তী হয়ে চীন এখন তাঁর নাগরিকদের জীবন বিপন্ন করে তুলছে। আরও কিছুদিন লকডাউনের প্রয়োজন ছিল চীনে। ছিল আরও স্যানেটাইজের প্রয়োজন। যার ফলে বেজিং এও ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাসের আতঙ্ক। যার ফলে ইতালিকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে চীনের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।