পরিযায়ী শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে পিটিশন, কেন্দ্রকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ COVIED-19 এর জেরে সারা বিশ্ব স্তব্ধ। এই সংক্রমণ রোধে জারি হওয়া ২১ দিনের লকডাউনে (lockdown)  দেশের নানা জায়গায় পরিযায়ী শ্রমিকদের যে চরম প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে তার উল্লেখ করে  পিটিশন দিলেন দুই সমাজকর্মী হর্ষ মান্দের ও অঞ্জলি ভরদ্বাজ। পিটিশনে অভিবাসী শ্রমিক-কর্মীদের মৌলিক ন্যূনতম বেতন দিতে অবিলম্বে নির্দেশ জারির আবেদন করেন তাঁরা। এ ব্য়াপারে আজ কেন্দ্রকে নোটিশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিষয়টি নিয়ে ৭ এপ্রিল আরও শুনানির দিন ধার্য্য করেছে বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও (El Nageswara Rao) , বিচারপতি দীপক গুপ্তাকে (Deepak Gupta)  নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ।

corona 1 1

আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ জানান,  পিটিশনে বলা হয়েছে যে,  ২৪ মার্চ নরেন্দ্র মোদি (narendra modi) সরকার ঘোষিত লকডাউনে বিরাট ক্ষতি হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। তাদের জন্য় সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে জীবনধারণ, বেঁচে  থাকার মৌলিক অধিকার কার্য্যকর করা উচিত অবশ্যই। পিটিশনে আরও বলা হয়েছে, কোনও আগাম নোটিস না দিয়েই লকডাউন জারি হওয়ায় দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা ছড়িয়েছে, সর্বত্র শিল্পসংস্থা, কারখানায় নিযুক্ত লাখ লাখ শ্রমিক-কর্মী তাত্ক্ষণিক বেতন, কাজ হারিয়েছেন, বিপাকে পড়েছেন রাস্তার হকার, রিক্সাচালক, বাড়ির কাজের লোক,  ছুটকোছাটকা কাজ করে পেট চালানো লোকজন। এর ফলে ভিন রাজ্য থেকে কাজের সূত্রে আসা লোকজন দলে দলে ঘরের পথে পা বাড়িয়েছেন। তাঁরা প্রচুর সংখ্যায়  ভিড় করেছেন বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন, আন্তঃরাজ্য সীমানায়। এতে তারা করোনাভাইরাসে সংক্রমণে বিপদের মুখে পড়েছেন, ভাইরাস (virus) ছড়ানোর ঝুঁকিও বেড়েছে।

polo

পরিযায়ী শ্রমিকরা রাস্তায় বেরনোয় এই ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সোস্য়াল ডিসট্যান্সিংয়ের (Social Distancing) মাধ্য়মে জনস্বাস্থ্য রক্ষার চেষ্টাই  ব্য়র্থ হতে বসেছে, এটা স্পষ্ট হতেই ২৯ মার্চ তাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে আদেশ দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বলা হয়েছে, পরিযায়ী  শ্রমিকদের নিয়োগকর্তাকে লকডাউনের সময় তাদের বেতন দিয়ে দিতে হবে, এই সময়কালে তাদের ভাড়াবাড়ির মালিকরাও যেন পয়সা না নেন। রাজ্য সরকারগুলিকেও এই শ্রমিকদের খাবার,আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও এই আদেশ ব্যাপক হারে পরিযায়ী শ্রমিকদের বেরিয়ে যাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় যথার্থ, সঠিক পদক্ষেপ নয়। তবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আদেশে যেমন বলা হয়েছে, এটাও আশা করা অবাস্তব যে, পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়োগকারী  ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থাগুলি কাজের জায়গায় তাদের বেতন মিটিয়ে দেবে।

 

সম্পর্কিত খবর