এক সময় নিজে ঠিকঠাক ভাবে খেতে পেতেন তাই তিনি গরিবদের খিদের জ্বালা বোঝেন। সেই কারণেই এবার করোনার জেরে না খেয়ে দিন কাটানো দিন মজুরদের মুখে খাবার তুলে দিলেন এশিয়াডে সোনা জয়ী স্বপ্না বর্মন। এক সময় দুমুঠো ভাতের জন্য সারাদিন অপেক্ষা করতে হত স্বপ্নকে সেই স্বপ্নাই এবার জলপাইগুড়ির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে 500 দিনমজুর পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন স্বপ্না বর্মন।
স্বপ্না বর্মন জানিয়েছেন এক সময় এক মুঠো ভাতের জন্য সারাদিন অপেক্ষা করে থাকতে হতো আমাকে, বাবা সারাদিন রিক্সা চালিয়ে রাতে দুমুঠো চাল কিনে নিয়ে আসতেন সেই চাল দিয়ে ভাত তৈরি করে তবেই আমাদের খাবার জুটতো। সেই কারণে আমি গরিবদের পেটের জ্বালা বুঝতে পারি আর তাই এই মুহূর্তে করোনার জন্য যে সকল দিন মজুরের প্রতিদিনের খাবার জুটছে না তাদের পাশে আমি দাঁড়িয়েছি, তাদের হাতে তুলে দিয়েছি খাদ্য সামগ্রী।
এই মুহূর্তে জলপাইগুড়ির পাতকাটা কলোনির ঘোষ পাড়ায় নিজের বাড়িতে গৃহবন্দী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে স্বপ্না বর্মন। তিনি জানিয়েছেন এই মুহূর্তে আমি বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছি না একদম গৃহবন্দি হয়েই দিন কাটাচ্ছি ফলে পরিবারের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটাচ্ছি, মাঝে মাঝে বাড়ির বাচ্চাদের সাথে খেলা করছি। যতটা সম্ভব বাড়ির মধ্যে থেকেই নিজের শরীর চর্চা করছি, সেই সাথে নিয়মিত ব্যায়াম করে চলেছি যাতে কোনো ভাবেই নিজের ওজন বেড়ে না যায়, সেই সাথে স্বপ্ন বর্মন দেশবাসীকে অনুরোধ করেছেন “সকলেই বাড়িতে থাকুন, সুস্থ থাকুন।”