বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আজ থেকে প্রায় ১৮ বছর আগে আমেরিকার নিউ ইয়র্ক (New York) শহরে আলকায়দা আতঙ্কবাদীর দরুণ এক সাঙ্ঘাতিক হামলা হয়েছিল। এই ৯/১১ বিমান হালমায় সমগ্র বিশ্ব আতঙ্কিত হয়েছিল। এই ঘটনায় আমেরিকার নিউ ইয়র্কে ২৭৫৩ জন মানুষ মারা গিয়েছিল। সেই আতঙ্কবাদী হামলার ঘটনা আজও সমগ্র বিশ্বের কাছে স্পষ্ট হয়ে হয়েছে। সেই ঘটনার ১৮ বছর পর বর্তমানে মারণঘাতী করোনা ভাইরাস (COVID-19) সেই ভয়াবহ ঘটনাকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে।
করোনা ভাইরাসের ফলে নিউ ইয়র্কে ৩২০২ জন মানুষ ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন। যার দ্বারা প্রমাণিত যে, করোনা ভাইরাস ৯/১১ এর হামলাকেও হার মানিয়ে দিয়েছে। ৯/১১ এর আলকায়দা হামলায় নিউ ইয়র্কের প্রায় ২৭৫৩ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। আর এখনও অবধি করোনা ভাইরাসের ফলে নিউ ইয়র্কে প্রায় ৩২০২ জন মানুষ মারা গিয়েছেন। যা থেকে বোঝা যাচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যে মারণঘাতী করোনা ভাইরাস কি ব্যাপকহারে সেখানে বিস্তার লাভ করেছে।
আমেরিকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে এবং মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার পার করেছে। যার মধ্যে নিউ ইয়র্কেই আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি ১.৩৮ লক্ষ মানুষ। আবার অন্যদিকে ফ্রান্সে করোনা ভাইরাসের ফলে ক্রমশই মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। স্পেনে পরপর ৪ দিন মৃতের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার পর মঙ্গলবার আবার হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। প্রায় ৭৪৩ জন একদিনেই প্রাণ হারায় স্পেনে। এবং মোট মৃতের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার।
আবার ইউনাইটেড কিংডমে মঙ্গলবার ৭৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল প্রায় সাড়ে ৬ হাজার। ইতালিতে মৃত্যের সংখ্যা সর্বাধিক, ইতিমধ্যেই ১৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে আবার করোনা ভাইরাসের প্রকোপে পড়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন লন্ডনের হাসপাতালে ICU তে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর অবস্থা বর্তমানে কিছুটা স্থিতিশীল।
একদিকে যখন আমেরিকা এবং ইউরোপীয় দেশগুলো করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে, সেখানে মঙ্গলবার চীনে একজনেরও মৃত্যু হয়নি করোনায়। আবার করোনার উৎপত্তিস্থল উহানের উপর থেকেও লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।